পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-Ikr স্বামী दि्वकांन्मन् । গ্ৰীষ্মকালটি স্বামীজী এইখানেই যাপন করিয়াছিলেন। এই স্থানে অবস্থানকালে একদিন নদীতীরে বসিয়া তিনি নির্বিকল্প সমাধি দুভি কবিয়াছিলেন। তঁহার বিখ্যাত ‘সন্ন্যাসীর গান” এইখানেই রচিত হয়। ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে কয়েকজন ইংরাজ বন্ধুর নিমন্ত্রণে স্বামীজী ঈগলণ্ডে গমন করেন। এ দিকে খৃষ্টান মিশনারীরা তঁহার বিরুদ্ধে নানাপ্রকার ষড়যন্ত্র পাকাইয়া তাহার দুনাম ঘোষণা করিতে থাকে। বাধ্য হইয়া স্বামীজীকে অনেক সময় তাহদের কম্পিত অপবাদের জবাব দিতে হইত । ইংলেণ্ডে স্বামীজী মহাসমাদরে অভ্যর্থত হইলেন। পূর্ব-পরিচিত বন্ধু । মিঃ ষ্টাডি ও মিস হেনরিয়েটা তঁহাকে নিজ নিজ গৃহে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। লগুনে উপস্থিত হইবার পর এক মাসের মধ্যেই কয়েকটি বক্তৃতা দিয়া স্বামীজী নগরের অধিবাসিকৃন্দের চিত্তে শ্রদ্ধার আসন প্রতিষ্ঠিত করিয়া লষ্টলেন । এই সময়ে মিস মাৰ্গারেট নোেবল ( ইনিই উত্তরকালে ভগিনী নিবেদিতা নামে পরিচিতা ) স্বামীজীর প্রথম দৰ্শন লাভ করেন। বিবেকানন্দের বক্তৃতা-শ্রবণে বিলাতের লোক এমনই মুগ্ধ হইল যে, ধৰ্ম্মযাজকগণ তঁহাদের ধৰ্ম্মমন্দিরে গিয়া স্বামীজীকে বেদান্তধৰ্ম্ম ব্যাখ্যার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন। ভদ্রমহিলারা স্থানাভাবে অনেক সময় গৃহতলে বসিয়া তাহার বক্তৃতা শ্রবণ করিতেন। কিছুদিন পরে স্বামীজীকে পুনরায় আমেরিকায় প্রত্যুবৰ্ত্তন করিতে উইল। সেখানে কয়েকটি স্থায়ী ধৰ্ম্মপ্রচারের কেন্দ্র ਸਚ হইল। স্বামীজীর অনুপস্থিতিকালে স্বামী কৃপানন্দ, অভয়ানন্দ ও মিস ওয়ান্ডো আমেরিকায় প্রচারের কাৰ্য্য পরম উৎসাহভরে সম্পাদন করিতেছিলেন। স্বামীজী আমেরিকায় আসিয়া পুনরায় বক্তৃতা আরম্ভ করিয়াছিলেন। à «