পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । ኃ8ፃ অধ্যাপক প্রবারকে বলিয়াছিলেন, “আমার জন্য এত কষ্ট স্বীকার করিবার কোন প্রয়োজন ছিল না ।” অধ্যাপক উত্তরে বলিয়াছিলেন, “শ্ৰীীরামকৃষ্ণের যোগ্যতম শিষ্যের দর্শনলাভের সৌভাগ্য সর্বদা ভাগ্যে ঘটিয়া উঠা অসম্ভব।” দ্বিতীয়বার ইংলণ্ডে আগমন করিয়া স্বামীজী সেভিয়ার দম্পতীকে শিয়ারূপে লাভ করেন। শ্ৰীমতী সেভিয়ার শিষ্যা হইলেও স্বামীজী তঁহাকে মাতার ন্যায় জ্ঞান করিতেন। অদ্যাবধি তিনি সন্ন্যাসীদিগের মাতৃস্থান অধিকার করিয়া মায়াবতীর মঠে অবস্থান করিতেছেন। জুলাই মাসের শেষভাগে শিষ্য ও বন্ধুগণ সমভিব্যাহারে স্বামীজী লণ্ডন হইতে জেনেভা নগবে উপস্থিত হন। সেখানে বেলুনে উঠিয়া তিনি সমগ্র স্থানটি দর্শন করেন । সুপ্ৰসিদ্ধ জৰ্ম্মান অধ্যাপক পলািডয়সন স্বামীজীকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া পত্ৰ লিখিয়াছিলেন। সুইজারল্যাণ্ড ভ্রমণকালে স্বামীজী সেই পত্ৰ প্ৰাপ্ত হন ও তথা হইতে অধ্যাপকের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য জাৰ্ম্মানীতে গমন করেন। অধ্যাপক সারাজীবন বেদান্তের চর্চা করিয়া আসিয়াছেন। স্বামীজীর সহিত আলাপ ও আলোচনায় তিনি পরম প্রীতিলাভ করিয়াছিলেন। অধ্যাপক কোনও কাৰ্য্যব্যাপদেশে ক্ষণকালের জন্য গৃহস্তরে গেলে স্বামীজী একখানি কবিতা-পুস্তক অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করিতে আরম্ভ করেন। অধ্যাপক ফিরিয়া আসিয়া তাঁহাকে ডাকিলেন ; কিন্তু পুস্তকপাঠে স্বামীজীর মন এমনই ডুবিয়া গিয়াছিল যে, অধ্যাপকের আহবান তিনি শুনিতে পাইলেন না। পরিশেষে পাঠ শেষ করিয়া চাহিতেই অধ্যাপককেই দেখিতে পাইলেন। তিনি বুঝিলেন অধ্যাপক অনেকক্ষণ র্তাহার প্রতীক্ষা করিতেছেন। স্বামীজী ক্ষমা চাহিয়া বলিলেন যে, তিনি বই পড়িতেছিলেন, তাই তাহার ডাক, উনিতে পান নাই। অধ্যাপক কথাটা যে বিশ্বাস করেন নাই, তাহা ।