পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

30 ভাৱত-প্ৰতিভা গেলেন। স্বামীজী যে স্থলে প্ৰথম অবতীর্ণ হন, রামনাদরাজ তথায় চল্লিশ ফুট উচ্চ একটি স্মৃতি-সৌধ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন। স্বামীজীর ভারতবর্ষে প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের শুভ সংবাদ অচিরকালমধ্যে বিঘোষিত হইল। সমগ্ৰ ভারতবর্ষ তাহার নামে মাতিয়া উঠিল । রামনাদ হইতে মান্দ্ৰাজে যাইবেন জানিতে পারিয়া পথিমধ্যে যে সকল ষ্টেশন বা নগর ছিল, তত্ৰত্য অধিবাসিকৃন্দ তাহাকে অভিনন্দিত করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিল। স্বামীজী কাহারও আবেদনে উপেক্ষা করিতে পারিলেন না। পরমকুডি, মাছুরা, কুম্ভকোনম্ প্রভৃতি স্থানে নামিয়া তিনি মৰ্ম্মস্পৰ্শী ভাষায় বক্তৃতা করিয়াছিলেন। প্ৰত্যেক ষ্টেশনে সহস্ৰ সহস্ৰ দৰ্শক। তঁহাকে দেখিবার জন্য সমবেত হইয়াছিল। কোন কোন ষ্টেশনে ট্ৰেণ থামাইয়া তাহাকে অতিনন্দিত করাও হইয়াছিল। একটি ছোট ষ্টেশনে সকল গাড়ী থামিত না। তন্ত্ৰত্য শত শত লোক ষ্টেশনে সমবেত হইয়া ষ্টেশন-মাষ্টারকে গাভী থামাইবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন। ষ্টেশন-মাষ্টার কি করিবেন ভাবিয়া ঠিক করিবার পূর্বেই পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ষ্ট্রেশন হইতে গাড়ী ছাড়িয়া দিল। তখন গাড়ী থামাইবার অন্য কোনও উপায় না দেখিয়া কয়েকজন সাহসী বীর রেল-লাইনের উপর শুইয়া পড়িলেন। এই দৃষ্টান্তে বহু ব্যক্তি সেখানে গিয়া দাড়াইলেন। ষ্ট্রেশন মাষ্টার প্রমাদ গণিয়া ৱক্ত পতাকা দেখাইতে লাগিলেন। ট্ৰেণ থামিল। তখন স্বামীজীর জয়ধ্বনিতে চারিদিক নিনাদিত হইল । সমবেত জনমণ্ডলী স্বামীজীকে অভিনন্দন জানাইয়া কৃতাৰ্থ হইলেন। স্বামীজী মান্দ্ৰাজে যে ভাবে অত্যৰ্থিত হইয়াছিলেন, তেমন সমারোহ আর কখনও হয় নাই। মাত্রাজের সমুদয় অধিবাসী সম্মিলিত হইয়া। তঁহার অভ্যর্থনা করেৰ। সমস্ত নগরটি পত্র-পুষ্পে সুসজ্জিত