পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। । ډول د ٠ পরে তিনি মায়াবতীতে গিয়া আশ্ৰম পৰ্যবেক্ষণ করেন ; জানুয়ারী মাসে তিনি বেলুড় মঠে প্ৰত্যাবৃত্ত হন। মঠের কাৰ্য্যপ্ৰণালী নির্দেষভাবে চলিতেছে ৮ দেখিয়া তিনি আনন্দিত ও উৎসাহিত হইলেন। অতঃপর শীতকালে তিনি ঢাকা, চন্দ্রনাথ, কামাখ্যা প্ৰভৃতি পরিদর্শনের পর নাগ মহাশয়ের বাটীতে গিয়া অতিথি হন। তখন নাগ মহাশয় ইহলোক হইতে মহাপ্ৰস্থান করিয়াছেন। তঁহার পত্নী পরমষত্নে স্বামীজী ও তদীয় শিষ্যগণকে অভ্যর্থনা করিলেন। শিলং স্বাস্থ্যকর স্তান জানিয়া স্বামীজী, কিয়দিবস তথায় অবস্থান করেন ; কিন্তু এখানে তঁহার কোনও দৈহিক উপকার দেখা গেল না ; বরং শ্বাস ক্লছুতা বাড়িতে লাগিল। একদিন এমনই অবস্থা দাড়াইল যে, আর বুঝি, জীবন থাকে না। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পারিয়া স্বামীজী তখন বলিয়াছিলেন, “এখন দেহত্যাগ হইলেই বঁচি, আমি জগৎকে বহুবর্ষ চিন্তা কম্বিকীর মত পৰ্য্যাপ্ত উপকরণ দিয়াছি।” পূর্ববঙ্গ ও আসামভ্ৰমণ শেষ হইলে স্বামীজী কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলেন। বহুমূত্ররোগে তিনি বহুদিন হইতে পীড়িত ছিলেন ; এখন তাহার পরিণাম শোথ দেখা দিল। সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হইল ; কবিরাজী ঔষধে অনেকটা উপকারও হইল ; কিন্তু স্বামীজী সকল সময় চিকিৎসক-নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করিয়া চলিতেন না । ১৯০১ খৃষ্টাব্দে স্বামীজীর অভিপ্ৰায়ানুসাবে মঠে প্ৰতিমা গড়িয়া দুর্গোৎসব, লক্ষ্মীপূজা ও খামাপূজা যথাশাস্ত্ৰ অনুষ্ঠিত হইল। শারীরিক অসুস্থতা নিবন্ধন স্বামীজী নবযুগের বার্তা আশানুরূপ ভাবে প্রচার করিতে পারিতেন না। তিনি একদিন বলিয়াছিলেন, “আমি দুই হাজার কৰ্ম্ম যুবক ও ত্রিশকোটী টাকা পাইলে ভারতবর্ষকে নিজের SS