পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। । ( 3දීAG ভোজনান্তে স্বামীজী ব্ৰহ্মচারিবৃন্দকে সংস্কৃতক্লাশে ডাকাইয়া পাঠ দিতে লাগিলেন। অপরাঙ্কে তিনি স্বামী প্ৰেমানন্দের সহিত ভ্ৰমণে বহির্গত হইয়া বেলুড় বাজার পর্যন্ত গমন করিয়াছিলেন। সন্ধ্যার পর আরতির সময় স্বামীজী স্বীয় কক্ষে চলিয়া গেলেন ; তার পর গঙ্গার দিকে মুখ কৰিয়া ধ্যান করিতে বসিলেন। একঘণ্টা ধ্যানের পর তিনি কক্ষতলে শয়ন করিলেন এবং জনৈক ব্ৰহ্মচারীকে ডাকিয়া বাতাস করিতে বলিলেন। রাত্ৰি ৯টার সময় তঁহার হস্ত কম্পিত হইল ; সঙ্গে সঙ্গে নিদ্রিত শিশুর ন্যায় তিনি অস্ফুটম্বরে কাদিয়া উঠিলেন। দুইবার গভীর দীর্ঘশ্বাস পতিত হইল, আমনই উপাধান হইতে মস্তক গড়াইয়া পড়িয়া গেল। ব্ৰহ্মচারী স্বামীজীকে তদাবস্থ দেখিয়া দৌড়িয়া সকলকে সংবাদ দিলেন। সন্ন্য আসিয়া দেখিলেন, পরম যোগী, পরম জ্ঞানী, পরমত্যাগী, • ভারতবর্ষের শ্ৰেষ্ঠ সন্তান নিৰ্ব্বিকল্প সমাধিপ্ৰাপ্ত হইয়াছেন। হে জ্ঞানযোগিন কৰ্ম্মবীর ! হে ত্যাগ-ধৰ্ম্মের পূর্ণাবতার সন্ন্যাসীপ্রবর! ভারতবর্ষকে, নিজীবি নিম্পন্দপ্রায় দেশবাসীকে " জাগাইয়া, মাতাইয়া কৰ্ম্মপ্রবাহে ভাসাইয়া দিবার জন্য তুমি বহু বহু শতাব্দীর পর অলকানন্দার তীর হইতে এপারে-মৰ্ত্তাধামে নামিয়া আসিয়াছিলে । তোমার বিশ্ববিশ্রুত পাঞ্চজনা-শঙ্খনাদে আসমুদ্র হিমাচলের ধমনীতে নবজীবনের প্রবাহ কি অপূৰ্ব্ব ছন্দেই না নৃত্য করিয়া উঠিয়াছে! হে যুগাবতার, কলির নির-নারায়ণ ! সংশয়, সন্দেহ, জড়তা ও কৰ্ম্মহীনতার যুগসন্ধিক্ষণে ଵିଷ୍ପଙ୍ଖଶ୍ চরণতলে বসিয়া যে মন্ত্র দর্শন করিয়াছিলে, নিখিল বিশ্বে তুমি তাহা জলদগম্ভীর্য-নিঃস্বনে প্রচার করিয়া গিয়াছ। সমগ্ৰ ভারতবাসী তোমার নিকট শিখিয়াছে—“যত্র জীব তত্র শিব” দরিদ্রনারায়ণের সেবা মানব-জীবনের শ্ৰেষ্ঠ ধৰ্ম্ম, লোক-সেবাই জীবনের শ্ৰেষ্ঠ আদর্শ। তুমি দীপ্তসূৰ্য্যের ন্যান্ব ाजीद्भा।