পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবান শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব। " a বলিয়াছিলেন, “এ সামান্য উন্মাদ নহে। -প্রেমোন্মাদ !”, কালনার -পরমভাগবত ভাগবতদাস বাবাজী ইহাতে কুপিত হইয়া তিরস্কার করেন। কয়েক দিন পরে পরমহংসদেব কালনায় গিয়া বাবাজীর সন্দেহ নিরাস করেন। মহাভাবিদর্শনে বাবাজী কৃতাৰ্থ হন। ঠাকুর স্বদেশে পদাৰ্পণ করিলে গ্রামটি উৎসবক্ষেত্রে পরিণত হইত। শ্যামবাজারে তঁহাকে লইয়া সপ্তাহকাল নিরবচ্ছিন্ন সঙ্কীৰ্ত্তন হইয়াছিল। ঠাকুর প্রতি বৎসর , পানিহাটীর নিত্যানন্দমহোৎসবে গিয়া সমবেত জনগণকে সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে পুলকিত করিতেন। পুলক-বিভ্ৰমময়, ভাবা বেশবিহবল সে সঙ্কীৰ্ত্তন, সে উদণ্ড নৃত্যের মাধুরী একমাত্ৰ শ্ৰীচৈতন্যদেবের নৃত্যের সহিতই তুলনীয়। \, সঙ্কীৰ্ত্তনে মাতিয়া উঠিলে ঠাকুরের বাহাজ্ঞান থাকিত না । কলিকাতায় আসিলে বাগবাজারের বলরামবাবুর বাড়ীই তঁহার প্রধান আরামের স্থল ছিল। ধনাঢ্য ব্যক্তিগণের সহিত আলাপ করিয়া তিনি তৃপ্তিলাভ করিতে পারিতেন না। শম্ভুনাথ মল্লিক, যদুলাল মল্লিকের উপর তাহার সমধিক কৃপা ছিল। ভারতবর্যের নানা স্থান হইতে সাধুৱা কলিকাতায় । আসিলে দক্ষিণেশ্বরে গিয়া পরমহংসদেবকে দর্শন করিতেন। লক্ষ্মীনারায়ণ নামে এক পণ্ডিত ঠাকুরের ব্যয়নিৰ্বাহাৰ্থ দশ হাজার টাকা ও মথুর বাবু পঞ্চাশ হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ লইবার জন্য তাহাকে জেদ করিয়াছিলেন ; অনুরোধ শুনিয়া প্ৰলোভনের ভয়ে কঁদিতে কঁাদিতে ঠাকুরের সমাধি হয়। আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রেরিত দুই তিন জন ব্রাহ্ম পরমহংসদেব সম্বন্ধে ধারণা করিবার জন্য, এবং তঁাহাকে কেশব বাবুর শরণ