পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবান শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব। SS অপার মহিমা দেখাইয়া গিয়াছেন। দক্ষিণেশ্বরে মাতাঠাকুরাণী ( পরমহংসদেবের স্ত্রী) তিঁাহার সেবা করিবার জন্য আসিয়াছিলেন। ঠাকুর তঁহাকে ‘আনন্দময়ী মা’ বলিতেন। জন্মোৎসবের দিন পরমহংসদেব বলিয়াছিলেন- “এখানে যাহারা ঈশ্বরদর্শন ও জ্ঞানভক্তিলাভের আশায় আসিবে, তাহারা পূর্ণ মনোবশ্ব হইবে।” তিনি অধিকারিভেদে DBDBBDSTBDDBDD DDD DDD DDD KuDB BBBB BBBBDS BBDBB0 সন্ন্যাস দিতেন ; কাহাকেও গৃহস্থ-সন্ন্যাসী করিতেন ; কাহাকেও গৃহী থাকিতে বলিতেন। সন্ন্যাসী ভক্তদের কথা গৃহীদের বলিতেন নাগৃহীদের কথা সন্ন্যাসীদের বলিতেন না । সহসা একদিন ঠাকুরের গলায় বাথা হইল, খাদ্য গলাধঃকরণে ব্যথা অনুভব করিলেন, বেদন গণ্ডমালায় পরিণত হইল-সময়ে সময়ে শোণিতস্রাব হইতে লাগিল। বহুদৰ্শী ইংরাজ চিকিৎসক দেখাইবার জন্য ভক্তেরা তঁহাকে কলিকাতায়-শ্যামপুকলে লইয়া আসিলেন। মহেন্দ্রলাল সরকারের চিকিৎসায় অল্প উপশম হইল, কিন্তু আবার বাড়িয়া উঠিল। ডাক্তার সরকারের পরামর্শে ভক্তেবা পরমহংসদেবকে বরাহনগরের বাগানে লইয়া গেলেন। চিকিৎসা ও রোগযন্ত্রণায় অভিভূত না হঈয়া পরমহংসদেব ভক্তসমাগমে, ঈশ্বরোপাসনায়, নৃত্যগীতাদির আনন্দে মগ্ন থাকিতেন। সন্ন্যাসী ভক্তেরা প্ৰাণপণে সেবা করিতেন । কালীপূজার দিন রাত্রে ভক্তেরা পরমহংসদেবের পূজা করেন, এবং তঁহাকে মহাশক্তি জ্ঞানে ভোগাদি দেন। ১লা জানুয়ারী ঠাকুর কল্পতরু হইয়া ভক্ত গণকে কৃপা করেন। স্বামী বিবেকানন্দকে তিনি সমস্ত শক্তি দান করিয়া নিজে নিঃস্ব হইয়াছিলেন। ১২৯৩ সালের ৩১শে শ্রাবণ রাত্রি ১টা