পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R* - 8 , ਲਚਿਚ সঙ্গে সঙ্গে সকলেই সবিস্ময়ে লক্ষ্য করিতেছিল যে, তিনি আমোদপ্রমোদে উদাসীন। সৰ্ব্বদাই তিনি কি যেন চিন্তা করেন। নিৰ্জনতা যেন তঁহার নিকট অধিক স্পাহনীয়। যেখানে গোলমাল, হুড়াহুড়ি, মহসীন তাহার ত্রিসীমায় নাই। আমোদ-প্রমোদের নাম শুনিলেই তিনি দূরে পলায়ন করেন। অথচ যেখানে ভগবানের নাম গান হয়, স্তোত্র পাঠ চলে, মহসীন সেখান হইতে নডিতে চাহে না । নামাজের সময় বালক মহসীন, কিছু বুঝিতে না পারিলেও আনন্দে নৃত্যু করিতে থাকেন। বালককাল হইতেই তঁহার এই বিচিত্র ব্যবহারে সকলেই বিস্ময়কর বোধ করিতে লাগিলেন। শৈশবসুলভ কোনও প্রকার চপলত তাহাতে প্ৰকাশ পায় নাই ; বাল্যকাল হইতেই ভোগ-বিলাসে তিনি বিগতস্পৃহ ছিলেন। উৎক্লষ্ট বসন ভূষণে সজ্জিত করিয়া দিলেও তিনি তজ্জনিত কোনও আনন্দ প্ৰকাশ কৱিতেন না । কোনও ভিক্ষুক তঁাহার নিকট কিছু প্ৰাৰ্থনা করিলেট, তিনি অঙ্গের বহুমূল বসনাদি তৎক্ষণাৎ দান করিয়া ফেলিতেন। বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার বিদ্যার্জনের প্রতি সমধিক অনুরাগ প্ৰকাশ পাইতে লাগিল। প্রথমতঃ, কোনও পুস্তক দেখিলেই তিনি সৰ্ব্বকৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া, বইখানি গ্ৰহণ করিতেন, পাতা উল্টাইয়া যাইতেন। সে সময়ে যে কেহ লক্ষ্য করিলেই দেখিতে পাইত, বালকের মুখখানি তখন আনন্দে কিরণে প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিয়াছে। সিরাজী নামক জনৈক মহাপণ্ডিত মুসলমান ভদ্রলোকের উপর মহাসীনের শিক্ষার ভার পিডিয়াছিল । তিনি আরবী ও পারসী ভাষায় সমধিক বুৎপন্ন ছিলেন। নানাদেশ পৰ্য্যটন করিয়া সাংসারিক সকল বিষয়েই তাহার প্রচুর অভিজ্ঞতাও জন্মিয়াছিল। সিরাজী পরম চরিত্রবানও ছিলেন, এরূপ গুরুর নিকটে বিদ্যার্জনের অবকাশ পাইয়া মহসীনের