পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবান শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব। . ܣܬ ܆ তিনি ভক্তির ভগবানা-কিন্তু স্বয়ং ভক্ত-চুড়ামণি। দক্ষিণেশ্বরে তাহা ভারতবাসীর মরুহৃদয় সরস ও সুস্নিগ্ধ করিয়াছে; কালে সেই পূত প্রবাহিণী জগৎ প্লাবিত করিবে । তিনি করুণা-নিধান,-পুস্পচয়নেও তরুলতার বেদনা অনুভব করি।-- তেন ; তাই শেষে ইষ্টদেবতার পূজার জন্যও ফুল তুলিতে পারিতেন না। “তয়া সৰ্ব্বমিদম ততম-তিনিই সর্বভূতে বিরাজমান। হরিৎ তৃণস্তম্ব, সুকুমার পুষ্পসম্ভার হইতে 'জবাকুসুম-সঙ্কাশ’ মহাদু্যতি বিবস্বান পৰ্য্যন্ত সমগ্র চরাচর সেই মহাশক্তির বিকাশ ;-ইহা তাহার প্রত্যক্ষ অনুভূতির বিষয় ছিল। তাই তিনি “জীবে দয়া’র নৰ্ম্মাদ-প্ৰপাত। তাই মারা পূজায় তাহার যেমন রতি, দরিদ্রনারায়ণের সেবায় তাহার তেমনই অনুরাগ। اب তিনি স্বয়ং। শুদ্ধ, বুদ্ধ, মুক্ত -কিন্তু সংসারীর বন্ধু। ভগবান গীতায় জ্ঞানীর জন্য মুক্তির পথ নির্দেশ করিয়াছিলেন। বুদ্ধদেব জনসমাজের স্তরে স্তরে নির্বাণ দান করিয়াছিলেন। এই কলিযুগে ভগবান রামকৃষ্ণ আর্যাবৰ্ত্তের আর্যজ্ঞান—বেদ, উপনিষদ, ব্রহ্মবিদ্যার সার-সর্বধৰ্ম্মের সার সত্য মুক্তহস্তে বিতরণ করিয়া গিয়াছেন। রামকৃষ্ণ-মুখপদ্মবিগলিত সেই উপদেশ-অমৃত-ফলে পাপী, তাপী, ভোগী ও যোগীর সমান অধিকার। শ্ৰীশ্ৰীভগবান রামকৃষ্ণ ঐহিক ও পারমাথিক শান্তির সেতু। দয়াল ঠাকুর পতিত জাতির উদ্ধারকীৰ্ত্তা। তিনি ভারতের তপোবনে যে বীজ বপন করিয়াছেন, তাহ অঙ্কুরিত ও পল্পবিত হইয়াছে। কালে