পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ ·, . ' ' ) ভারত-প্রতিভা প্রকাশ পাইত না। চিরদিনই রামতনু সংযতচেতা ছিলেন। উত্তরকালে । তঁহার শরীরে যত দিন সামর্থ্য ছিল, তিনি প্রতিবৎসর ১লা জুন তারিখে। হেয়ার সাহেবের সমাধিক্ষেত্রে গিয়া তঁহার স্মরণার্থ সভা করিতেন। রামতনু শোকের পর শোকের আঘাত পাইলেন। কিছুদিন পূর্বে ম্যালেরিয়ায় ভুগিয়া সহােদর রাধাবিলাস মৃত্যুমুখে নিপতিত হইয়াছিলেন, জ্যেষ্ঠ সহোদর কেশবচন্দ্ৰও বহুদিবস ম্যালেরিয়ায় কষ্ট পাইয়া প্ৰাণত্যাগ করিলেন । রামতনু আঘাতের পর আঘাত, অসীম ধৈৰ্য্যবলে সহ্য করিলেন। জোষ্ঠের বিয়োগের পর সংসারের সমুদয় ভার তঁাচারই স্কন্ধে নিপতিত হইল। তিনি তাহাতে পশ্চাৎপদ হইলেন না। ইতিমধ্যে তঁহার তৃতীয় বার বিবাহ ঘটে। হিন্দুকলেজে পাঠকালে রামতনু বিবাহিত হন; কিন্তু বিবাহের চরি৷ পাচ বৎসর পরে সেই পত্নীর দেহান্ত ঘটিলে, রামতনু পাবনা জেলার অন্তর্গত মথুরা নামক গ্রামের কোনও ব্রাহ্মণের কন্যাকে দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন। এই পত্নী নাকি কখনও শ্বশুর বাড়ী আসেন নাই । রামতনু এই পত্নীর ব্যবহারে বিশেষ সুখী হইতে পারেন নাই । বিবাহের তিন চারি বৎসর পরেই দ্বিতীয়া পত্নীও গত হন । রামতনু, সাঁতরাগাছি গ্রামের কৃষ্ণকিশোর চৌধুরীর কনিষ্ঠা কন্যার সহিত পরিণীত হন । এই তৃতীয়া পত্নী হইতেই তঁহার সস্তানবৰ্গ ভূমিষ্ট হইয়াছিল। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে কৃষ্ণনগরে এক কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়। রামতনু এই কলেজে দ্বিতীয় শিক্ষকের পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়া তথায় গমন করেন। তাহার বেতন হইল একশত টাকা । শিক্ষকতা কাৰ্য্যে রামতনুর অসাধারণ দক্ষতা ছিল। তিনি ছাত্রবর্গকে পড়াইবার সময় পৃথিবীর সকল বিষয় । বিস্মিত হইতেন। সমগ্ৰ মন দিয়া পাঠ্যবিষয়ের ব্যাখ্যা করিতেন। পাঠ্য..” বিষয়ের প্রসঙ্গে তিনি তৎসংক্রান্ত অবশ্য জ্ঞাতব্য সকল বিষয়ই বালকদিগকে,