পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांस ब्रॉक्षदांg (यिद । RE: কোনও অনুষ্ঠানে কেহ বাধা দিতে গেলে, তিনি তঁহার প্রতিবাদ না। করিয়া থাকিতে পারিতেন না। বৃন্দাবনে ময়ুরের প্রাচুৰ্য্য-নিবন্ধন ইংরাজ শিকারীরা প্রায়ই ময়ূর শিকার করিতে বৃন্দাবনে যাইতেন। রাধাকান্ত দেব মধুর বৃন্দাবনে জীবহত্যা দর্শনে অত্যন্ত ব্যথিতচিত্ত হন। তঁহারই সমধিক চেষ্টায় বৃন্দাবনে কোনও প্রকার পশুপক্ষী শিকার বন্ধ হইয়া যায়। রাজা রাধাকান্ত দেবের চরিত্ৰ-মাধুৰ্য্য, পাণ্ডিত্য ও স্বধৰ্ম্মে নিষ্ঠা ও প্রগাঢ় অনুরাগ দেখিয়া কি ইংরাজ, কি দেশীয় সকলেই তাহাকে শ্রদ্ধা করিত, • ভক্তির পুষ্পাঞ্জলি অৰ্ঘ্য দিত। র্তাহার মত অত্যুন্নত হৃদয়-নিষ্কলঙ্ক চরিত্র,মহৎ হৃদয় পুরুষ সে সময় বাঙ্গালা দেশে অতি অল্পসংখ্যকই বিদ্যমান ছিলেন। রাধাকান্ত দেব পূর্ব হইতে জানিতে পারিয়াছিলেন, তাহার মৃত্যুকাল আসন্ন। দেহাবসানের তিন দিন পূর্ব হইতে তিনি সর্দিতে কষ্ট পাইতেছিলেন। মৃত্যুর দিবস প্ৰাতঃকালে কিঞ্চিৎ উষ্ণ দুগ্ধ পান করিয়া তিনি প্রিয় ভৃত্যকে বলিয়াছিলেন যে, তঁহার মৃত্যুকাল সমাগত। কিরূপে তাহায় সৎকার করিতে হইবে, পুরোহিত মহাশয়কে তিনি পূর্ব হইতেই জানাইয়া রাখিয়াছিলেন। তিনি পরম বৈষ্ণব ছিলেন, সুতরাং মৃত্যুর পর তুলসী ও চন্দন কাষ্ঠে তাহার দেহ ভস্মীভূত করিবার ব্যবস্থা তিনি নিজেই করিয়াছিলেন। ভূত্যকে সেই সকল কথা পুনরায় স্মরণ করাইয়া দিয়া তিনি আত্মীয়স্বজনগণের নিকট হইতে বিদায় লইয়া নিমতলে অবতরণ করেন। তৎপরে তুলসীতলায় শয়ন করিয়া মন্তকের দিকে শালগ্রাম শিলা রাখাইয়া অন্তিমশষ্যা গ্ৰহণ করেন। দুইঘণ্টা ধরিয়া মালা জপ করিবার পর রাজা রাধাকান্ত দেব অনন্ত পথে যাত্রা করেন। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের ১৯শে এপ্রিল ধৰ্ম্মাত্মা রাজার প্রাণবিয়োগ ঘটে। মৃত্যুকালে ইহঁর বয়ঃক্রম প্রায় চুরাশী বৎসর হইয়াছিল।