পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। . . ২৪৩ তাহার সমধিক আনন্দ, তৃপ্তি ও অনুরাগ ছিল। ব্যায়ামে বিগতস্পৃহ مي" বঙ্কিমচন্দ্র অপরাক্কালে উন্থানে ভ্ৰমণ করিতেন । ইহা তাহার একটি সখ ছিল। মাঝে মাঝে নদীর তীরে, বা খালের ধারেও পদচারণা করিতেন। প্ৰকৃতির বিচিত্র সৌন্দৰ্য্যরাশি বালককাল হইতেই সম্ভবতঃ বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভার উন্মেষণে সাহায্য করিয়াছিল। শারীরিক ব্যায়ামে অনুরাগ না থাকায় বঙ্কিমচন্দ্রের দেহ বাল্য, কৈশোর অথবা প্রথম-যৌবনে পরিপুষ্ট হয় নাই। তঁহার দৈহিক শক্তি পৰ্য্যাপ্ত না থাকিলেও সাহস এবং মানসিক শক্তি অপৰ্য্যাপ্তরূপে ছিল জীবনে অনেকবার তিনি সাহস ও তেজস্বিতার যথেষ্ট পরিচয় দিয়া श्रेिग्रांछिम ! বাল্যকাল হইতেই বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালায় কবিতা রচনা করিতে আরম্ভ করেন । তাহার পঞ্চদশবর্ষ বয়ঃক্রমকালের কবিতানিচয় “প্ৰভাকর।” নামক সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হইত। বাঙ্গালার শেষ খাটি বাঙ্গালী কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত উক্ত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যরচনার কোন কোন স্থলে মহাকবি কালিদাসের প্রভাব পরিদৃষ্ট হইলেও ভাবসম্পদে সেগুলি দরিদ্র নহে। অনুকরণম্পূহ বাল্যকাল হইতেই বঙ্কিমচন্দ্রকে প্রভাবিত করিতে পারে নাই। কবিবর ঈশ্বর গুপ্তের নিকট কাব্য - রচনা করিতে শিখিয়াও তিনি ঈশ্বর গুপ্তের রচনার প্রভাব হইতে আত্মরক্ষা করিয়া স্বতন্ত্রভাবে কবিতা রচনা করিতেন । ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত হুগলী কলেজে অধ্যয়ন করিবার পর, সেখানকার পরীক্ষা দিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে প্ৰবেশ করেন।