পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R9W» ভারত-প্ৰতিভা । হইতে হইল। নীলকর সাহেবেরাও সে সময় ঘোরতর অত্যাচারী হইয়া উঠিয়াছিলেন। তঁহাদের অত্যাচার ও পীড়নে দরিদ্র প্রজাবৰ্গ নিশ্লিষ্ট হইতেছিল। মাঠের ধান, রমণীর মান, কৃষকের প্রাণ নির্বিঘ্ন ছিল না । বঙ্কিমচন্দ্ৰ পুলিসের সাহায্যে এই সকল অত্যাচারের প্রতীকারের জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন। র্তাহার প্রাণপণ চেষ্টায় খুলনা জেলায় নীলকরের অত্যাচার প্রশমিত হইয়াছিল ; জলদসু্য ও তস্করদিগকেও তিনি দমন করিয়াছিলেন । গবৰ্ণমেণ্ট ও তঁাহার কাৰ্য্যতৎপরতায় সন্তুষ্ট হইয়া প্ৰসন্নচিত্তে তঁহার বেতনবৃদ্ধি করিয়া দিয়াছিলেন । এই সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র তঁহার প্রথম উপন্যাস “দুৰ্গেশনন্দিনী” রচনা করেন। নীলকরদিগের প্রতাপ BDBi YD BBD SDDDBDBBBD DBBu DBDS g DDB DBB DDD থাকিয়াও বঙ্কিমচন্দ্ৰ উপন্যাসরচনার জন্য অবকাশ করিয়া লইয়াছিলেন। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে, চৈত্রমাসে বঙ্কিমচন্দ্র খুলনা জেলা হইতে চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত বারুইপুরে বদলী হইয়া যান। কয়েক মাস এখানে কাৰ্য্য করিবার পর তিনি ডায়মণ্ডহারবারে ডেপুটীর কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন । তাহার পর ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে চব্বিশ পরগণার সদরে হাকিম হইয়া wfL আলিপুরে বদলী হইবার পূর্বে বঙ্কিমচন্দ্রের “দুর্গেশনন্দিনী” ও “কপালকুগুলা” পাঠকবর্গের সম্মুখে প্ৰকাশিত হইয়াছিল। বাঙ্গালা সাহিত্যে উপন্যাস সৃষ্টি করিয়া তিনি বাঙ্গালী পাঠকবর্গকে আকৃষ্ট করিতে লাগিলেন। “কপালকুণ্ডলা” রচিত হইবার পর বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভা বাঙ্গালী পাঠকবর্গকে চমকিত করিয়া তুলিল। অবশ্য, তাহার রচনার বিরোধী সম্প্রদায় তাহাকে নানাপ্রকারে বিদ্রুপ করিতে বিরত '