পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re; ठश5-१डिल Society for the higher training of youngm en" নামক । नडांश যোগদান করিয়াছিলেন। এই সভায় তিনি কয়েকটি বক্তৃতা “দিয়াছিলেন । প্রথম-যৌবনে বঙ্কিমচন্দ্ৰ ঈশ্বরে বিশ্বাসহীন ছিলেন। কিন্তু বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার ঈশ্বরে বিশ্বাস বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। তঁহার রচিত গ্ৰন্থাবলীর মধ্যে ইহার ক্ৰমপরিণতি বেশ দেখিতে পাওয়া যায়। কিছু কালের জন্য মৎস্যমাংসাশী বঙ্কিমচন্দ্র ঐ সকল খাদ্য পরিত্যাগ পূর্বক হৰিস্থান্ন গ্ৰহণ করিতেন। শুধু তাহাঁই নহে, তিনি নামাবলী গায় দিয়া, ‘বিশুদ্ধ আচারপ্রণালী অবলম্বন পূর্বক সাত্ত্বিক জীবন যাপন করিতেন। অধিকাংশ কাল তিনি গীতা পাঠ ও আবৃত্তি করিতেন; কিন্তু অৰ্দ্ধশত বৎসর যিনি মৎস্ত ও মাংসে দেহ পুষ্ট করিয়া আসিয়াছিলেন, পূর্ণ সাত্ত্বিক অ্যাহার তাহার সহ হইল না। অবশেষে বাধ্য হইয়া তাহাকে পুনরায় মৎস্যমাংস ব্যবহার করিতে হইয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলীতে সন্ন্যাসীর প্রভাব পরিদৃষ্ট হুয়; তাহার জীবনেও সন্ন্যাসীর প্রভাব ঘটিয়াছিল । বঙ্কিমচন্দ্রের পিতৃদেব যাদবচন্দ্ৰ সন্ন্যাসীর দ্বারা প্রথম-যৌবনে মৃত্যুদ্বার হইতে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন। তাহার পর মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে সন্ন্যাসীর দেখা পাইয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের শেষ জীবনেও তিনি অযাচিতভাবে সন্ন্যাসীর আশীৰ্বাদ লাভ করেন। সন্ন্যাসীর প্রতি বঙ্কিমচন্দ্রের স্বাভাবিক একটা শ্ৰদ্ধা ছিল । , ... গুরুতর পরিশ্রমে বঙ্কিমচন্দ্রের শরীরে বহুমূত্র রোগ দেখা দিয়াছিল। রাজকাৰ্য হইতে অবসরগ্রহণের কিছুকাল পূৰ্ব্ব হইতেই এই রোগের স্বাস্ত্রপাত হয় ; কিন্তু সে সময়ে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় নাই।