পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छेश्ब्रष्ठ श्g। R&ct ঈশ্বরচন্দ্র বড়ই অনুৰী হইয়াছিলেন। শুনা যায়, তিনি বিবাহের পর স্ত্রীয় সহিত তেমন ঘনিষ্ঠতা রাখেন নাই । বিস্কার্জনের দিকে অনুরাগ না থাকিলেও সপ্তদশ কি অষ্টাদশবর্ষ বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র দেড় মাসকালের মধ্যে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের মিশ্ৰ পৰ্যন্ত অর্থসহ আয়ত্ত করিয়াছিলেন। অনন্যসাধারণ মেধা ও স্মৃতিশক্তির সহায়তাতেই তিনি দুঃসাধ্য ব্যাপার সংসাধন করিয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰ অধিকাংশকাল কবিতা-রচনাতেই অতিবাহিত করিতেন । । তিনি জন্মকবি । কবিতা রচনাতেই তঁাহার সমধিক আনন্দ ছিল । বাল্যকালে জোষ্ঠিতাতপুত্ৰ মহেশচন্দ্রের সহিত ঈশ্বরচন্দ্রের কবিতার লড়াই হইত । অসাধারণ স্মৃতিশক্তির সহায়তায় দুৰ্বোধি সংস্কৃত শ্লোকের ব্যাখ্যা একবারমাত্ৰ শুনিয়াই ঈশ্বরচন্দ্ৰ তাহা বাঙ্গাল কবিতায় রচনা করিতে পারিতেন । কলিকাতার পাথুরিয়াঘাটার ঠাকুরবংশের সহিত ঈশ্বরচন্দ্রের মাতামহ রামমোহন গুপ্তের ঘনিষ্ঠত ছিল । ৬৮ নন্দকুমার ঠাকুরের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুর মহাশয়ের আনুকূল্য ও উদ্যোগে ১২৩৭ সালের ১৬ই মাঘ হইতে ঈশ্বরচন্দ্ৰ “সংবাদ প্রভাকরা” নামক একখানি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। যোগেন্দ্রমোহন ঈশ্বরচন্দ্রের সমবয়স্ক ছিলেন। উভয়ের মধ্যে বিশেষ হৃদ্যতা জন্মিয়াছিল। ঈশ্বরচন্দ্র অবসরকালের অধিকাংশই যোগেন্দ্রমোহনের ভবনে যাপন করিতেন । তঁহাদের আশ্রয়ে থাকিয়া তাহদের উৎসাহেই ঈশ্বরচন্দ্রের কবিত্বশক্তির সমধিক প্রকাশ ঘটিয়াছিল। সখের কবির দলে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের সহিত, গান রচনা করিয়া দিতেন ; কোনও বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হইলে তাহ