পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊाझङ-gथख्छि। বাঙ্গালা-সাহিত্যপাঠের রস-গ্ৰহণের সুবিধা করিয়া দিলেন। রমণী ও বালক যাহাতে পড়িবামাত্র বুঝতে পারে, এমনই ভাষায় এই পত্রিকার প্ৰবন্ধাদি রচিত হইতে লাগিল। রাধানাথ শিকদার ও প্যারীচাদ উভয়ে এই পত্রিকা সম্পাদনা করিতেন। এই মাসিক পত্রিকার পাঠকবর্গ সাগ্রহে প্ৰতি মাসে উহার আবির্ভাবের প্রতীক্ষা করিতেন। উহার সরল, সরস রচনা পাঠে সকলেই তৃপ্তি অনুভব করিতেন। কিছু দিন পরে টেকচাঁদ ঠাকুর প্রণীত “আলালের ঘরের দুলাল” প্ৰকাশিত হইল। প্যারীচঁাদ টেকচাদ নাম দিয়া উক্ত উপন্যাস রচনা করেন। সেইজন্য এখনও উহা টেকচাঁদ ঠাকুরের “আলালের ঘরের দুলাল” নামে প্ৰসিদ্ধ। প্যারীচাঁদ এই উপাদেয়। উপন্যাস রচনা করিয়া চিরস্মরণীয় হইয়া গিয়াছেন। টেকচাদের “আলালের ঘরের দুলাল” ও কুমারখালীর হরিনাথ মজুমদারের রচিত “বিজয়-বসন্ত” বাঙ্গালায় প্ৰথম উপন্যাস। তৎপূর্বে বঙ্গসাহিত্যে কোনও উপন্যাস রচিত হয়। নাই। “আলালের ঘরের দুলাল” অত্যন্ত সহজ, সরল কথ্য-ভাষায় রচিত । ইহাতে বঙ্গসাহিত্যে একটা নূতন যুগের সৃষ্টি হইয়াছিল। কোনও গ্রন্থের ভাষা যদি গাম্ভীৰ্য্যহীন হইত, তবে সে সময়ে সেই গ্রন্থের ভাষাকে “আলালী ভাষা” আখ্যা প্ৰদান করা হইত। প্রকৃতপক্ষে এই “আলালী ভাষা” হইতেই বঙ্গসাহিত্যের গতি ভিন্নপথে পরিচালিত হইয়াছিল। কিছু কালপরে এ ভাষার প্রভাব রহিল না বটে, কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র ও অক্ষয়চন্দ্রের ভাষারও পরিবর্তন ঘটিল। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাবে দুই শ্রেণীর ভাষা ভাঙ্গিয়া অপূৰ্ব বেগশালিনী, কালনাদিনী উচ্ছাস্যময়ী ভাষা-ভাগীরথী বঙ্গসাহিত্যের মাঠ-প্ৰান্তর, পল্লী-নগরের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইতে লাগিল ।