R wits's-tafss খৃষ্টান করিবার সুযোগ পাইয়া উৎফুল্প হইয়া উঠিলেন। পাদরীরা তঁহাকে এমন ভাবে আশাও দিলেন যে, হিন্দুধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ধীশুর ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলে তাহারা তাহাকে বিলাতে পাঠাইবার সুবিধা করিয়া দিবেন। মেমের সহিত বিবাহ হইতেও বাধা জন্মিবে না। মধুসুদন সরলচিত্ত, সংসারের কুটিলতার কোনও সংবাদ রাখিতেন না। তিনি খৃষ্টান পাদরীদিগের আপাতমধুর আশ্বাসবাক্যে মুগ্ধ হইলেন ; গৃহ ত্যাগ করিয়া গোপনে কেল্লায় আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন। কলিকাতায় হুলস্থূল পড়িয়া গেল। দেশের সম্রান্ত ব্যক্তিগণ উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন। মধুর সন্ধান মিলিল না। ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারী তারিখে মধুসুদন খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেন। মধুসুদন অতঃপর মাইকেল মধুসুদন দত্ত নামে পরিচিত হইলেন। , ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করায় পিতা-মাতা বাধ্য হইয়া তাহার সহিত সকল সামাজিক সংস্রব ত্যাগ করিলেন। প্রথমতঃ মধুসুদনকে প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া স্বধৰ্ম্মে আনিবার জন্য র্তাহারা অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু মধুসুদন সে পথে গেলেন না। হিন্দুকলেজে অহিন্দুর পাঠের অধিকার ছিল না। অগত্যা তিনি বিশপস কলেজে ভৰ্ত্তি হন । পিতা রাজনারায়ণ তঁহাকে পড়ার খরচ দিতে লাগিলেন। একমাত্ৰ সন্তান বিধক্ষ্মী হওয়ায় পিতা-মাতার হৃদয়ে কিরূপ প্ৰচণ্ড আঘাত লাগিয়াছিল, তাহা সহজেই অনুমেয়। মাইকেল অতঃপর পূৱা মাত্রায় সাহেবীভাবে বিশপস কলেজে পড়িতে লাগিলেন। এই সময়ে তিনি গ্ৰীক ভাষা উত্তমরূণে শিখিতে থাকেন। ক্ৰমে লাটিন, ফরাসী, হিব্রু, জৰ্ম্মণ