পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ల8 डब्रिड-डिस्ट লেখাপড়ায় রমেশচন্দ্ৰেৱ আন্তরিক যত্ন ও আগ্রহ ছিল । তিনি প্রায়ই অবকাশকালে বাড়ীতে থাকিতেন ; কাহারও সহিত বড় একটা মিশিএতেন না ; সৰ্ব্বদা পাঠগৃহে বসিয়া অধ্যয়ন করিতেন । বাল্যকালে যতদিন পিতার সঙ্গে ছিলেন, তত্তদিন তিনি ভাগলপুর, বীরভূম, কুমারখালি, পাবনা, মুর্শিদাবাদ প্ৰভৃতি নানাস্থান দর্শন করিবার অবকাশ পাইয়াছিলেন। রমেশচন্দ্রের পিতা ঈশানচন্দ্রের একটি পুরাতন ভূত্য ছিল। তাহার -নাম যুধিষ্ঠির। যে মনিবপুত্র দুইটিকে পরম যত্নে রক্ষণাবেক্ষণ করিত। যখন তঁাহারা দেশভ্রমণে যাইতেন, সেও ছায়ার ন্যায় তাহদের অনুবন্ত্ৰী হইত। বাল্যকালে রমেশচন্দ্ৰ এই ভূত্যের প্রমুখাৎ রামায়ণ-মহাভারতের গল্প শুনিয়া পরম কৌতুক ও আনন্দ অনুভব করিতেন। রমেশচন্দ্রের জননী নিষ্ঠাবতী হিন্দুনারী ছিলেন। হিন্দুধৰ্ম্মে তাহার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও স্বভক্তি ছিল । স্বামীর সহিত যখনই তিনি বিদেশে যাইতেন, তত্ৰত্য দেবদেবীর মন্দির ও তীর্থস্থানগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দর্শন করিতেন। মাতার সাহিত রমেশচন্দ্র যখন থাকিতেন, তখন তিনিও এই সকল তীর্থক্ষেত্ৰ রূৰ্শনের সুযোগ পাইতেন। শুধু তাহাই নয়, স্থানীয় ইতিহাস জানিবার দিকেও তঁাহার প্রবল আগ্রহ বাল্যকাল হইতেই প্ৰকাশ পাইয়াছিল। ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে রমেশচন্দ্ৰ মাতৃহীন হন । তাহার পর স্থায়িভাবে কলিকাতাতেই খুল্লতাত-ভবনে থাকিয়া লেখাপড়া শিখিতে থাকেন। ইংরাজী সাহিত্যের প্রতি রমেশচন্দ্রের অনুরাগ বাল্যকাল হইতেই বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। তাহার পিতা এ জন্য রমেশচন্দ্ৰকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন এবং প্রায়ই বলিতেন, পরীক্ষায় প্রশংসার সহিত উৰ্ত্তীর্ণ হুইকে