পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়। 之> অজ্ঞান তিমিরে আচ্ছন্ন হইয়া কেন অমূল্য জীবন বৃথা নষ্ট করিতেছ? সৌভ্রাতৃবন্ধনে বদ্ধ হইয়া পরব্রহ্মের পূজা করিয়া কৃতাৰ্থ হও! এ ধৰ্ম্মে জাতিভেদ নাই, এ ধৰ্ম্ম স্বচ্ছ ও প্রশস্ত ; ধনী দরিদ্র, আচণ্ডাল ব্ৰাহ্মণ, আবাল-বৃদ্ধধনিতা এ ধৰ্ম্মে সমান অধিকারী।” এই অভয়বাণীতে উদবুদ্ধ হইয়া অনেকে । রামমোহনের ব্ৰহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় লইতে লাগিল-দেশময় তুমুল আন্দোলিনের ঝটিকা বহিতে থাকিল। পণ্ডিতগ্রণী শঙ্কর শাস্ত্রী, সুব্রহ্মণ শাস্ত্রী, ভট্টাচাৰ্য্য, গোস্বামী, মার্শম্যান, টাইটলর প্রভৃতি মিশনারীদেব সহিত তুমুল তকযুদ্ধ চলিতে লাগিল। রামমোহন ব্ৰহ্মজ্ঞান বুঝাইবার জন্য যে গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে অনুষ্ঠান, ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের লক্ষণ, ব্রহ্মোপাসনা, বেদান্তসূত্ৰ,বেদান্তসার, গায়ত্রীর অর্থ, পঞ্চোপনিষৎ, ব্ৰহ্মসঙ্গীত, প্রোর্থনাপত্ৰ, আত্মানাত্মবিবেক বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এতদভিন্ন রামমোহন ‘সুব্রহ্মণ শাস্ত্রীর সহিত বিচার,’ ‘কায়স্থের সহিত মদ্যপান বিচার,’ ‘ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত বিচার,” “গোস্বামীর সহিত বিচার,’ ‘চারি প্রশ্নের উত্তর’, ‘বজঙ্গুচি', “পাদরী-শিষ্য-সংবাদ’ ‘সংবাদ-কৌমুদী,’ ‘ব্রাহ্মণ সেবধি,” ক্ষুদ্রপত্রী, ‘পথ্য প্রদান, গৌড়ীয় ব্যাকরণ’, ‘কুলার্ণব তন্ত্র’ প্ৰভৃতি পুস্তিকা প্রচার করেন ; এবং পাশী ও আরবী ভাষায় ‘তোহফাতুল মোহদীন গ্ৰন্থ প্রণয়ন করেন । মিশনারী অ্যাডাম রামমোহনের পরামর্শমত ইউনিটেরিয়ান সোসাইটী’ নামে সভা প্ৰতিষ্ঠিত করেন ; সশিষ্য রামমোহন ঐ সভায় প্রত্যহ ঈশ্বরোপাসনা করিতে যাইতেন ; তৎপরে প্রসন্নকুমার । ঠাকুর, মথুরানাথ মল্লিক,রায় কালীনাথ মুন্সী, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের , সাহায্যে ১৭৫০ শকে তিনি ব্রহ্মসভা সংস্থাপিত করেন। ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে ; চিৎপুর রোড়ে বন্ধুবান্ধবগণের চাঁদায় আদি ব্রাহ্মসমাজগৃহ নিৰ্ম্মিত