পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১৮ । ভারত-প্ৰতিভা ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে "আলিপুরে অ্যাসিষ্ট্যাণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ প্ৰাপ্ত হন। ’ এখানে এক বৎসৱ কাৰ্য্য করিবার পর তিনি মুরশিদাবাদ জেলার অন্তৰ্গত জঙ্গিপুরে বদলী হইয়া যান। তথা হইতে ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দের ১৭ই ফেব্রুয়ারী নদীয়া জেলায় বনগ্রাম মহকুমার ভার প্রাপ্ত হন । বনগ্রামে অবস্থানকালে তিনি সেখানকার বহু বিষয়ের উন্নতিসাধন করিয়াছিলেন । নূতন পথ নিৰ্ম্মাণ, ভগ্ন বিদ্যালয় গৃহের সংস্কার ; পাঠশালা প্রভৃতির উন্নতি বিধান করিয়া তত্ৰ ত্য অধিবাসিবর্গের শ্রদ্ধা ও ভক্তি অর্জন করেন । ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে নদীয়া জেলায় মেহেরপুর মহকুমায় তিনি বদলি হন। সেই সময় জলপ্লাবন হেতু সে অঞ্চলে ভয়ানক মহামারী ও দুৰ্ভিক্ষ ঘটে । রমেশচন্দ্র অক্লান্ত পরিশ্রমে সেখানে অন্নসত্র খুলিয়া ক্ষুধিত নরনারীর বুভুক্ষণ নিবারণ করিয়াছিলেন। গবৰ্ণমেণ্ট ও দেশবাসী উভয় পক্ষই রমেশচন্দ্রের এই মহাদানুষ্ঠানে চমৎকৃত হইয়াছিলেন। এই সময়ে তত্ৰত্য নীলকর সাহেবদিগের সহিত রমেশচন্দ্রের মতের সামঞ্জস্য ছিল না। শ্বেতাঙ্গ নীলকরগণ নানাপ্রকারে তাহার ভাবী উন্নতির পথে বিস্ত্র সৃষ্টি করিতে লাগিল; কিন্তু রমেশচন্দ্র সে বিষয়ে লক্ষ্য না করিয়া সতেজে কৰ্ত্তব্য পালন করিতে লাগিলেন । দুর্ভিক্ষ প্রশমিত হইলে গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হইতে প্ৰশংসা লাভ করিয়া দেশবাসীর হৃদয়োথিত পূজার অর্ঘ্য পাইয়া রমেশচন্দ্র। ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে আবার বনগ্রামে ফিরিয়া আসিলেন। সেখানে কিছু দিন কাৰ্য্য করিতে করিতে একবার তাঁহার নিকট জমীদার ও প্রজার বিবাদসংক্রান্ত একটা মোকদম উপস্থাপিত হয়। জমীদার বদ্ধিত হারে খাজনা