পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায় ৷ ” २७ সহিত তাহার বন্ধুত্ব হইয়াছিল। বিলাতের উচ্চশ্রেণীর ধনকুবের ও সম্রান্ত-সম্প্রদায় তাহাকে সম্মানিত করিয়াছিলেন। ইংলণ্ডেশ্বর চতুর্থ উইলিয়মও সাক্ষাৎকালে তঁহাকে সমাদর করিয়াছিলেন। অভিষেক- , সভায় তিনি বিদেশীয় দূতগণের সহিত আসন প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ১৮৩২ ৷ খৃষ্টাব্দে তিনি হাউস অফ কমন্স কমিটীতে উচ্চপদে ভারতবাসী দিগকে নিযুক্ত করিবার অনুকূলে সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছিলেন। ভারতের কৃষি- । উন্নতি, দেওয়ানী ও রাজস্ব আদায়ের সুব্যবস্থা সম্বন্ধে প্ৰবন্ধ-পুস্তিকা প্রচার করিয়াছিলেন । ফ্রান্সের সম্রাট লুই রামমোহনকে দুইবার প্যারিসে নিমন্ত্ৰণ করিয়া লইয়া গিয়া সমাদর করিয়াছিলেন। ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্স হইতে ইংলণ্ডে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া,২৭শে সেপ্টেম্বর উনষষ্টিবৰ্ষ বয়ঃক্রমকালে ব্ৰিষ্টল নগরে জ্বরবিকার রোগে রামমোহন দেহত্যাগ করেন। জনশূন্য প্ৰান্তরে তঁহার দেহ সমাহিত ছিল। দশ বৎসর পরে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ব্রিষ্টলের আরনস্ভেলে সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া রামমোহনের সমাধিস্থ শব্ব উহাতে । সমাহিত করেন। কবিবর নবীনচন্দ্ৰ সেন “আমার জীবনে’ গ্রন্থে লিখিয়াছেন“পরমজ্ঞানী রামমোহন রায় ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে বেদ-উপনিষদ-মূলক প্রকৃত হিন্দুধৰ্ম্ম বলিয়া সংস্থাপিত করেন, এবং তদ্বারা খৃষ্টধৰ্ম্মের তরঙ্গ অবরোধ করিয়া দেশ রক্ষা করেন। পৌত্তিলিকতা পৰ্যন্ত তিনি নিম্ন অধিকারীর জন্য প্রয়ােজন বলিয়া স্বীকার করেন। ইতিমধ্যেই দেশের কয়েকটি উজ্জল রত্ন খৃষ্টান হইয়া গিয়াছিলেন, এবং স্বয়ং কেশবচন্দ্রও সেই আকর্ষণে, পড়িয়াছিলেন। ক্ষণজন্মা, রামমােহন রায়ের অভুত্থান না হইলে আজ।