(See ভারত-প্ৰতিRSFS বাদ্যযন্ত্রনিচয় “ভারত মিউজিয়ামে।” সংগৃহীত রহিয়াছে। সেগুলি দেখিबांद्र खिनिश् । লুপ্তপ্ৰায় বিশুদ্ধ সঙ্গীতের গৌরবের জন্য।--ভারতীয় সঙ্গীতকলার প্ৰতিষ্ঠা ও সঙ্গীত-সাহিত্যের প্রচারের জন্য-চিত্রকলাকে সমৃদ্ধ করিবার জন্য-শৌরীন্দ্রমোহন অকাতরে ব্যয় ও মুক্তহস্তে দান করিতেন । শৌরীন্দ্রমোহনের বিপুল সম্পত্তির আয়ে এই ব্যয় সস্কুলান হইত না ; ক্ৰমে ক্ৰমে তিনি ঋণজালে বিজড়িত হইয়া পড়েন। শৌরীন্দ্রমোহন কিন্তু এই ঋণের জন্য বিন্দুমাত্র বিচলিত না হইয়া আমরণ সঙ্গীতের জন্য সমভাবে অজস্র অর্থব্যয় করিয়া গিয়াছেন । তাহার সাধনা ও কামনা দেখিয়া স্বতঃই মনে হয়, কলাবিদ্যার জন্য সৰ্ব্বস্ব-ব্যয়ে তিনি কৃতসঙ্কন্নে ছিলেন । সম্পত্তি ত অনেক ধনবানের আছে-ব্যয়কুণ্ঠার ফলে ত বংশানুক্ৰমে বাড়িয়াই যাইতেছে- কিন্তু কলাবিদ্যার প্রতিষ্ঠার জন্য শৌরীন্দ্ৰমোহনের মত সৰ্ব্বস্ব-ব্যয়ে কৃতসঙ্কল্প কয়জন মহাপ্ৰাণ ভারতে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন ? শৌরীন্দ্রমোহনের জীবনান্তের পর তঁাহার বিপুল সম্পত্তি--- প্রাসাদ পৰ্য্যন্ত ঋণের দায়ে বিক্রয় হইয়া গেল।--কলিকাতার সন্ত্রান্ত-শিক্ষিতসম্প্রদায় দূরের কথা, তাহার পুত্র মহারাজা প্রস্থ্যোৎকুমার ঠাকুর পর্য্যন্ত সে স্মৃতিরক্ষায় যত্নবান হওয়া আবশ্যক বিবেচনা করিলেন না । কিন্তু শৌরীন্দ্রমোহন নিজে যে অমর অবদান প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন, কালের প্রভাবে তাহা বিনষ্ট হইবে কি ? ধন্য শৌরীন্দ্রমোহনা! ধন্য তোমার সাধনা-ধন্য তোমার আত্মত্যাগ ! awané
