পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪২ ৷৷ ভারত-প্ৰতিভা প্ৰতিপত্তি এবং অর্থ উপাৰ্জন করেন। এই ব্যবসায়ে বৎসরে গড়ে তিনি প্ৰায় দেড় লক্ষ টাকা উপাৰ্জন করিতেন। জুমীদার-সম্প্রদায়ের মধ্যে প্ৰসন্নকুমারই প্ৰথম উকীল হন । গবৰ্ণমেণ্টের উকীল বেলী সাহেব কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিলে প্ৰসন্নকুমার তাহার স্থলে সরকারপক্ষের উকীল নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে সরকার বাহাদুর যখন লাখেরাজ জমী বাজেয়াপ্ত করিবার প্রস্তাব করেন, সেই সময় প্ৰসন্নকুমার “বেঙ্গল হরকরা” নামক সংবাদপত্রে তৎসম্বন্ধে তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করেন। প্ৰস্তাবটি কাৰ্য্যে পরিণতঃ হইয়া গেলে, সরকারী তহশীলদারগণের অত্যাচার বন্ধিত হইল। ক্রমে সেই অত্যাচার চরম সীমায় উপনীত হইলে, প্ৰসন্নকুমার দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রভৃতি কতিপয় আত্মীয় ও বন্ধুর সহায়তা লইয়। কলিকাতা টাউন হলে লাখেরাজগণের একটি বিরাট সভা আহবান করেন । ঘআন্দোলন ক্রমেই প্ৰবল হইয়া উঠিল । তদানীন্তন বড় লাট লর্ড অঙ্কল্যাণ্ড এই আন্দোলনের প্রচণ্ডত দেখিয়া শঙ্কিত হইলেন। তঁহা, ধারণা হইল যে, লাটভবনও হয় ত আক্রান্ত হইতে পারে। অৰ্দ্ধঘণ্টা অন্তর তাহার নিকট সভার কাৰ্য্যাবলীর সংবাদ প্রেরিত হইতে লাগিল । এই বিরাট আন্দোলনের ফলে গবৰ্ণমেণ্ট ব্যবস্থা করিলেন যে, পঞ্চাশ বিঘার অনধিক লাখেরাজ জমী গবৰ্ণমেণ্ট বাজেয়াপ্ত कब्रेिदम मां । প্ৰসন্নকুমার “বেঙ্গল হরকরার” লেখক ছিলেন। উহাতে মধ্যে মধ্যে তিনি প্রবন্ধ রচনা করিতেন। কিছুকাল পরে "রিফরমার” নামক একখানি ইংরাজী ও “অনুবাদক” নামক একখানি বাঙ্গালা সংবাদপত্র বাহির