ሩS}Skታ” ভারত-প্ৰতিভা ধনীর জুলালগণ বিষয়ের ও অর্থের মালিক হইয়া “ যে সময় প্রায়ই বিলাসব্যসনে কালান্তিপাত করিতে অভ্যস্ত ছিলেন, সেই যুগে প্ৰসন্নকুমার আবির্ভূত হইয়া দেশবাসিগণের সমক্ষে এক অপূৰ্ব্ব আদর্শ রাখিয়া গিয়াছিলেন । পৰ্য্যাপ্ত পৈতৃক সম্পত্তি থাকিতেও তিনি নিজের পায়ে ভর দিয়া দাড়াইবার জন্য কি বিপুল চেষ্টাই না করিয়াছেন । এখনও এমন ধনীর দুলাল দেখিতে পাওয়া যায়-যাহারা কোনও প্রকার পরিশ্রমজনিত কাৰ্য্যে যোগদান করাকে পদমৰ্য্যাদার বিরোধী বলিয়া মনে করিয়া থাকেন ; কিন্তু প্ৰসন্নকুমার অভিজাতবংশে জন্মিয়া, প্রচুর অর্থের মালিক হইয়া, কোনও দিন তাহা মনে করেন নাই। প্ৰথমতঃ নীলের কুঠী, তৈলের কােল চালাইয়া তিনি ব্যৰ্থকাম হইয়াছিলেন সত্য, কিন্তু স্বাধীনভাবে অর্থে পাৰ্জনের সম্পূহ চিরদিনই তঁহার হৃদয়ে জাগ্ৰত ছিল । তাই আইন অধ্যয়ন করিয়া তিনি ব্যবহারাজীবের ব্যবসা অবলম্বন করিয়াছিলেন। শুধু তাহাই নহে, ইহার দ্বারা তিনি অপৰ্য্যাপ্ত অর্থ ও যশঃ অর্জন করিয়াছিলেন । প্ৰসন্নকুমার দেশের সু সন্তান, দরিদ্রের বন্ধু, বিপনের আশ্রয়দাতা --সৰ্ব্বাপেক্ষ তাহার প্রশংসার কথা ভঁাহার কৰ্ম্মময় জীবনের আদর্শ । ধনীর সন্তানগণ এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া স্বয়ং ধন্য হইতে পারেন, দেশবাসীর অশেষ মঙ্গলানুষ্ঠান করিতে পারেন। সঞ্চিত পৈতৃক অর্থে হাত না দিয়া নিজের পায়ে ভর দিয়া দাড়াইতে পারায় কি সুখ, কি তৃপ্তি, তাহা প্ৰসন্নকুমার ভোগ করিয়া গিয়াছেন, এবং উচ্চ আদর্শ স্বদেশবাসীর সম্মুখে রাখিয়া গিয়াছেন । বাঙ্গালী সে আদর্শকে বরণ করিয়া নিজের ও জাতির সৌভাগ্যের পথ বাধামুক্ত করিবে কি ? vidi