পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭હર ভারত-প্ৰতিভা মহৎ বলিয়াই জানিতেন। শ্বেতাঙ্গ জজসাহেব কিন্তু দ্বারকানাথের সহিত পরিচিত ছিলেন না । তিনি পত্ৰযোগে দ্বারকানাথকে সবিশেষ বিজ্ঞাপিত করিলেন। দ্বারকানাথ কালবিলম্ব না করিয়াই অনুসন্ধানে সাহেবের ঋণ যে প্রকৃত, তাহা বুঝিতে পারিলেন। তখন তিনি উত্তমৰ্ণেগণকে লক্ষ টাকা পরিশোধ পূর্বক তাহদের নিকট হইতে সাহেবের ঋণগ্রহণের স্বীকৃতি পত্রগুলি সংগ্ৰহ করিয়া লইলেন। এই সকল কাৰ্য্যের পর একদা তিনি উক্ত জজেসাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আত্মপরিচয় প্ৰদান করিলেন। সাহেব তখন নিজের বিপদের বৃত্তান্ত তঁহার নিকট বিবৃত করিতে লাগিলেন । দ্বারকানাথ তখন গম্ভীরভাবে সাহেবের হস্তলিখিত অঙ্গীকার লিপিগুলি তাহার সম্মুখে বাহির করিলেন। সাহেব বুঝিলেন, দ্বারকানাথের মহানুভবতায় তিনি ঋণমুক্ত। কৃতজ্ঞতায় তাহার হৃদয় ভরিয়া উঠিল। জজসাহেব তখন লক্ষ টাকার অঙ্গীকারলিপি প্ৰদানে উদ্যুত হইলেন দ্বারকানাথ উহা গ্ৰহণ করিলেন না । পীড়া হইতে মুক্তিলাভ করিয়া সাহেব যদি পুনরায় কৰ্ম্মভার গ্ৰহণ না করিতে পারেন, তবে ঐ রূপ স্বীকারোক্তি লইয়া কোনও লাভ হইবে না। রোগমুক্ত হইয়া ভারতবর্ষে প্রত্যাগমন করিলে তখন সাহেব অবশ্যই তদীয় ঋণ পরিশোধ করিবেন। দ্বারকানাথের এই প্ৰকার যুক্তিতে সাহেব নিরস্ত হইয়াছিলেন। পরিাণামে উক্ত জজসাহেব স্বাস্থ্যলাভ করিয়া ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিয়া দ্বারকানাথের ঋণ পরিশোধ করিয়াছিলেন । ” এই প্রকারের দয়া ও বদ্যান্যতার কাৰ্য্য দ্বারকানাথ বহুবার করিয়াছিলেন। বিপদগ্ৰস্ত হইয়া তাহাকে জানাইলেই তিনি যে কোনও উপায়ে বিপক্সের সাহায্য করিতেন। সুপারিশ করিয়া বহু লোকের চাকরীও