পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীপ্ৰসন্ন সিংহ। ] ඉyම আবৃত করা ও পরের ভাষায় ভাববিনিময় করা কাৰ্য্যটাকে তিনি অত্যন্ত দুৰ্বলতার পরিচায়ক বলিয়া বিশ্বাস করিতেন । বাল্যকাল হইতেই মাতৃভাষার প্রতি প্ৰগাঢ় অনুরাগ হেতু অল্পবয়সেই কালীপ্রসন্ন বাঙ্গালায় প্রবন্ধ রচনা আরম্ভ করেন। তঁহার প্রথম বাঙ্গালা রচনা অধুনা সংগ্ৰন্থ করা অত্যন্ত কঠিন। তবে যে সকল রচনা সংগৃহীত হইয়াছে, তদ্বারা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, কালীপ্রসন্ন অন্যের অনুকরণে কোনও প্ৰবন্ধ রচনা করিতেন না । কালীপ্রসন্ন স্ট্রীয় ভবনে বিদ্যোৎসাহিনী নাম্না একটি সভার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে ঐ সভার প্রথম অধিবেশন হয়। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বিদ্যোৎসাহিনী সভার সভ্যবৃন্দের চেষ্টায় ও কালীপ্রসম্নের উৎসাহ ও উদ্যোগে তঁহারই বাটীতে “বিদ্যোৎসাহিনী রঙ্গালয়” প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল । উক্ত রঙ্গালয়ে বেণী-সংহার নাটক অভিনীত হয় ; বহু সন্ত্রান্ত ইউরোপীয় এবং দেশীয় ভদ্রলোক সেই অভিনয় দর্শন করিতে অসিয়াছিলেন। অভিনয়কালে উক্ত নাটকখানি যে অভিনয়োপযোগী নহে, কালীপ্রসন্ন ইহা বুঝিয়াছিলেন। এজন্য তিনি স্বয়ং একখানি নাটক রচনায় অবহিত হন । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে। তঁহার রচিত ”বিক্রমোর্কশী” নাটক প্রকাশিত হয়। তখন কালীপ্রসন্ন ষোড়শবর্ষীয় কিশোর । এইরূপ অল্পবয়সে এরূপ শ্রেণীর একখানি নাটক রচনা করা সাধারণ ক্ষমতার পরিচায়ক নহে। “ধিবিধার্থ-সংগ্ৰহ” নামক পত্রে ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র উক্ত নাটকের ভূয়সী প্ৰশংসা করিয়াছিলেন। আলোচ্য বর্ষে, নবেম্বর মাসে কালীপ্রসন্ন স্বয়ং পুন্ধরবার ভূমিকা অভিনয়