পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२२ ভারত-প্ৰতিভা ভূদেবের জননীও অপূৰ্ব্ব রূপবতী ও অশেষ গুণশালিনী ছিলেন। তঁহার সৌন্দর্ঘ্যে মাতৃভাবের মধুর বিকাশ দেখিয়া ভূদেবের সতীর্থ, বাঙ্গালার মহাকবি মধুসুদন একদিন রাজরাজেশ্বরীর অন্নপূর্ণ-মূৰ্ত্তির কল্পনা করিতে পারিয়াছিলেন। প্রকৃতই র্তাহাকে দেখিলে দর্শকের হৃদয় শ্রদ্ধা ও ভক্তিভরে পরিপূর্ণ হইত। ভূদেবের পিতার অবস্থা ভাল ছিল না ; তিনি কষ্টে সংসার প্রতিপালন করিতেন । শৈশবে ভূদেবের শরীর অত্যন্ত রুগ্ন ছিল। প্রায়ই তিনি জ্বর ও উদরাময়ে ক্লেশ পাইতেন। হরীতকীবাগানের যে অংশে ভূদেব বাৰু থাকিতেন, সেখানে নিম্নশ্রেণীর লোকই অধিকসংখ্যায় বাস করিত । তাহাদের পুত্রদের সহিত শৈশবে ভূদেব খেলা করিতেন। একবার তিনি ক্রীড়াসঙ্গীদিগের সংসৰ্গজাত শিক্ষার ফলে জননীকে “গুখেকোর বেট” বলিয়া সম্বোধন করেন। এজন্য র্তাহার মাতৃদেবী পুত্রকে প্ৰহার করেন। তদবধি জননী আর পুত্রকে নীচ সংসর্গে যাইতে দিতেন না । তর্কভূষণ মহাশয়ের পরিবারে দেবদ্বিজে ভক্তিপ্রবণতা যথেষ্ট ছিল । বিশেষতঃ ভূদেবের জননী প্ৰত্যহ পতির পাদোদক পান না করিয়া অঙ্গ কোনও ভোজ্য স্পর্শ করিতেন না । স্বামীকে তিনি দেবতাঞ্জানে । পূজা করিতেন; স্বামীর কোনও ব্যবহাৰ্য্য দ্রব্য অন্যকে ব্যবহার করিতে দিতেন না । একবার শিশু ভূদেব (তখন তাহার বয়স তিন । কি চারি বৎসর হইবে) পিতার পাদুকার মধ্যে পা দিয়াছিলেন। পাছে মহাগুরুর ব্যবহৃত দ্রব্যে পুত্রের পাদস্পর্শ হওয়ায় গৃহের কাহারও