পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়। ' , '\}କ{ পরদিবস প্রত্যুষে পুত্রকে সঙ্গে করিয়া বহির্বাটীতে লইয়া গিয়া তর্কভূষণ নিজে তাহাকে পড়াইতে বসিলেন ; কিন্তু ভূদেব কোনও মতেই পড়িতে চাহিলেন না । এ যাবৎ তিনি কোনও দিন পিতৃ-আজ্ঞা লঙ্ঘন করেন নাই ; কিন্তু এবার তিনি সংস্কৃত পড়িবেন না, এ কথা খুলিয়াই বলিলেন । কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন যে, সংস্কৃত শিখিলে মানুষ যখন এমন নিষ্ঠুর হয়, তখন উহা তিনি পড়িবেন না । পিতার নির্দয় প্ৰহারের কথা তাহার মনে ছিল । তার পর ইংরাজী শিক্ষা করিবার। ऊँश्द्रि আগ্ৰহ জন্মিয়াছে ও তিনি ইংরাজী পড়িতেছেন, এ কথা স্বীকার করিলে তর্কভূষণ মহাশয় পুত্ৰকে অবিলম্বে ইংরাজী বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করিয়া দিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । সেই দিনই ইণ্ডিয়ান একাডেমী বিদ্যালয়ে ভূদেব প্ৰবিষ্ট হন। উলাষ্টন সাহেব এ কথা জানিতে পারিয়া হেদুয়া পুষ্করিণীর সন্নিহিত কোনও বাটীতে শ্ৰীমতী উইলসন-নামী যে মিশনারী মহিলা বাস করি।-- তেন, তাহার সহিত ভুদেবের পরিচয় করাইয়া দেন। বিবি উইলসন ও উলাষ্টন সাহেব এই দুইটি বিচক্ষণ ইংরাজ নরনারীর সহায়তায় ভুদেবের ইংরাজী শিক্ষা দ্রুততর অগ্রসর হইতে লাগিল । এখানে এক বৎসর অধ্যয়নের পর কোনও শিক্ষকের নিকট হইতে অকারণে প্ৰহৃত হইয়া ভূদেব সে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করেন। লেখাপড়ায় ভুদেবের বিশেষ অনুরাগ ছিল। তিনি নূতন বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইয়া মনোযোগ সহকারে পড়িতে লাগিলেন। একবার পরীক্ষায় প্রথম পুরস্কার লাভ করিয়াও ভূদেব উহ। তদীয় খুল্লতাতের অপদার্থ শুম্ভালককে দিয়াছিলেন। সে উহা আপন নামে চালাইয়া দিয়াছিল ।