ost . ভারত-প্ৰতিভা । মধুসুদন দের এই উদার প্রস্তাবে পরম আনন্দিত ও উপকৃত হইলেন। সেই সময় হইতে তিনি বহুদিন পৰ্য্যন্ত এই দোকান হইতে অনেক । পুস্তক লইয়া গিয়া পড়িয়াছিলেন এবং আবার ফিরাইয়া দিয়াছিলেন । এ উপকার জীবনে কখনও তিনি বিস্মৃত হন নাই। ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে ভূদেব ডবল প্রমোদন লইয়া ক্লাশে উঠিলেন । তৎপরবৎসর তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে উন্নীত হন । এই সময় বেচু চাটুৰ্য্যের ষ্ট্রটস্থিত পঞ্চানন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের দ্বিতীয় কন্যার সহিত ভূদেবের পরিণয় ঘটে। এই সময় ভূদেব স্বশ্রেণীস্থ ছাত্রবৃন্দের পাঠের নিমিত্ত ইংরাজী ভাষায় “প্রাইভেট অবজারভার” নামক একখানি হস্তলিখিত সংবাদপত্র বাহির করেন । হিন্দুকলেজে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ভূদেব অত্যন্ত স্বল্পাহার করিতেন । গুরু ভোজনে অধিককাল পরিশ্রম করা সম্ভবপর নহে মনে করিয়াই ভূদেব লঘুপাক দ্রব্য স্বল্পপরিমাণে ভোজন করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ভুদেবের ১৬ মাসের বেতন ৮০২ টাকা বাকী পড়িয়া যায়। তেজস্বী তর্কভূষণ মহাশয় একটা বিশেষ বার্ষিক বৃত্তি ত্যাগ করার ফলেই ভুদেবের কলেজের বেতন বাকী পড়িয়াছিল । উক্ত টাকা তিনি কোন ক্ৰমে সংগ্ৰহ করিতে না পারিয়া বিশেষ উদ্বিগ্ন হইয়া পড়েন। একজন অধ্যাপক স্পষ্টই বলিয়া দিয়াছিলেন যে, অচিরে সমস্ত টাকা পরিশোধ না করিলে ভূদেবের নাম কলেজ হইতে তুলিয়া দেওয়া হইবে ; তিনি আর তথায় অধ্যয়ন করিতে পাইবেন না । এ সংবাদে ভূদেবের চক্ষুতে জল আসিয়াছিল। তিনি নির্জনে বসিয়া কঁাদিতে লাগিলেন। তাহার সতীর্থ মধুসুদন তঁহাকে তদাবস্থ দেখিয়া