পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। । , ༢༩ সবিস্ময়ে উহার প্রতি চাহিয়া থাকিতেন। গাড়ীর পরিচালক বা গাড়েস্নান তাঁহার নিকট উচ্চশ্রেণীর জীব বলিয়া পরিগণিত হইত। একদিন পিতার প্রশ্নে বালক নরেন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন যে, তিনি “ঘোড়ার সহিস বা গাড়ীর কোচম্যান” হইবেন! বালক নরেন্দ্রনাথের বিশ্বাস ছিল যে, এই বিশ্বে গাড়োয়ানের উচ্চপদলাভই মানব-জীবনের চরম আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অধিকাংশ কালই তিনি অশ্বশালায় অতিবাহিত করিতেন। ঘোড়া তঁহার অতীব প্রিয় ছিল । , " মাতৃমুখে রামায়ণ ও মহাভারতের উপাখ্যানগুলি শুনিতে নরেন্দ্রনাথ অত্যন্ত ভালবাসিতেন। ভুবনেশ্বরী অনেক সময় পুত্ৰকে ক্ৰোড়ে বসাইয়া সীতারামের পবিত্ৰ কাহিনী বর্ণনা করিতেন। রামের অবদান তাহার শিশুহৃদয়ে অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। রামসীতার মূৰ্ত্তি ক্রয় করিয়া আনিয়া শিশু নরেন্দ্রনাথ বাটীর একটি নির্জনকক্ষে সেই মূৰ্ত্তির সম্মুখে অনেক সময় ধ্যানমশ্নের ন্যায় নিমীলিত-নেত্ৰে বসিয়া থাকিতেন। " বাটীর কোচম্যানের সহিত তাহার প্রগাঢ় সম্প্রীতি জন্মিয়াছিল। সে কোনও অজ্ঞাত কারণে বিবাহের প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিল । সুকুমারমতি বালকের নিকট সে দাম্পত্য-জীবনের অশান্তিময়ী কাহিনী এমনই নিপুণভাবে বর্ণনা করিয়াছিল যে, তাহাতেই নরেন্দ্রনাথের শিশুহৃদয়ে বিবাহিত জীবনের প্রতি একটা গভীর বিতৃষ্ণা জন্মে। ইহার পর একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে বালক নরেন্দ্রনাথ দাম্পত্য-প্রেমের অত্যুজ্জ্বল আদর্শ সীতারামের যুগলমূৰ্ত্তি ‘শাতখণ্ডে চূৰ্ণ করিয়া রাজপথে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। শৈশব হইতেই সাধু-সন্ন্যাসীর প্রতি নরেন্দ্রনাথের গভীর আসক্তি জন্মে। এক টুকরা গৈরিক বস্তু কৌপীনের মত কোমরে অ্যাটিয়া তিনি ঘূরিয়া বেড়াইতেন। মাতা প্রশ্ন করিলে উত্তরে বলিতেন, “আমি শিব