পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরাট । সুরত নো ভোজন” অর্থাৎ কাণীতে মৃত্যু যেমন প্রার্থনীয়, সুরাটের মিষ্টান্ন ভোজনও তদ্রুপ লোভনীয়। এখানকার ‘ঘরি’ নামক মিঠাই অত্যন্ত উপাদেয়, বরফি জমাইয়া তাহার উপর ঘৃত ঢালিয়া ইহা নিৰ্ম্মিত হয়। এখানে লুচি পাওয়া যায় না, নিমকি প্রভৃতি অন্যান্য ভোজনীয় দ্রব্যাদিও ঘূতি পক্ক । সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে আমরা বল্লভাচারী সম্প্রদায়ের শ্ৰীনাথজীর দেবালয় দর্শন করিয়া আসিলাম, ইহা অতি বিচিত্ৰ স্থান । আমাদের দেশের বঙ্গীয় বৈরাগী শ্রেণীর মধ্যে যেরূপ অপবিত্ৰত প্ৰবেশ করিয়াছে, বল্লভাচাৰ্য্যের শিষ্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও তদ্ররূপ বহুভাণ্ডামী এবং অপবিত্রতা বিরাজিত । দেখিলাম, দেবমন্দিরের আরতির সঙ্গে সঙ্গে দলে দলে নরনারী সুসজ্জিত হইয়া আসিতেছে, আর দ্বার উদঘাটিত হইবা মাত্র স্ত্রী-পুরুষ সকলে এক দ্বার দিয়া প্ৰবেশ করিতেছে পুনরায় তন্মুহুর্ক্সেই অন্য দ্বার দিয়া নিষ্ক্রান্ত হইতেছে, কারণ মন্দির মধ্যে ক্ষণকাল বিলম্ব হইলেই দেব দর্শনকারী:দিগকে কোড়ার ( চাবুক) আঘাত সহ্য করিতে হয়। সাধারণতঃ এদেশের নরনারীর নীতিজ্ঞান এবং কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি তাদৃশ প্রবল নহে। —নানা প্রকার কলুষিত উশৃঙ্খলতা ইহাদের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিরাজিত। এ স্থানের নিম্নশ্রেণীর অন্তভুক্ত কলু। প্রভৃতি জাতির নরনারীরা মদিরালয়ে যাইয়া প্ৰকাশ্যভাবে মদ্য পান করিতেও কোন প্রকারের দ্বিধা বোধ করে না । গুজরাটি মহিলারা দেখিতে প্ৰায় সকলেই সুন্দরী । ইহারা হিন্দুস্থানী এটি স্বামীণ রমণীদের প্রণালী অনুযায়ী সাড়ি পরিধান করে। রঙ্গ করা কথা । বস্ত্র ভিন্ন ইহারা পরিধান করে না । ইহাদের কাপড়ের বহিরাবরণের মধ্যেও আরেকটা আবরণ থাকে, বঙ্গ-রমণীগণের মত কখনও সূক্ষম বস্ত্র পরিধান করে না। গুজরাটি মহিলাদের কাঞ্চলি বা কঁচুলী । কিছু অদ্ভুত রকমের, ইহাকে বক্ষাবরণ ভিন্ন অন্য নামে क् िअडिश्डि कद्रा যায় না, কারণ পৃষ্ঠদেশ অনাবৃত রহিয়া এই কীচুলী দ্বারা কেবল বক্ষদেশ আৱত করা হইয়া থাকে। এ অঞ্চলে পুরুষ হইতে রমণীরাই সর্ব বিষয়ে অধিক দক্ষ। রমণীগণের মধ্যে অবগুণ্ঠন প্রথা প্রচলিত নাই। গুজরাটা রমণীদের দন্তের বিশেষত্ব আলোচনার যোগ্য। ইহারা দন্তে লোহিত রঙ ব্যবহার করিয়া থাকে, ইহাতে যে কি সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি পায় বুঝিতে পারি। እ»ዓ . " । १७s