পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । জ্বালামুখীর তীর্থ-খ্যাতি কোন সময় হইতে সর্বত্র সুপরিচিত হইয়া পড়ে তাহা নির্ণয় করা স্বকঠিন। তবে খ্ৰীষ্টিয় শতাব্দীর পূর্বেও যে ইহার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল তাহার বহু প্ৰমাণ পাওয়া যায়। নগরের ছয় স্থানে ৬টা উষ্ণ প্রস্রবণ আছে, সে জল পান করিলে কোন কোন রোগের বিশেষ উপকার হইয়া থাকে। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক তাহার পাঞ্জাবভ্রমণের মধ্যে একই পর্বতে শীতল ও উষ্ণ জলের কথার উল্লেখ করিয়াছেন, প্রত্নতত্ববিদগণ কেহ কেহ তাহাকেই জালামুখীর উষ্ণ প্রস্রবণ বলিয়া অনুমান করেন। হিন্দুদের মধ্যে একটী প্ৰবাদ প্ৰচলিত আছে, যে দিল্লীশ্বর ফিরোজশাহ তোগলক জ্বালামুখী দেবীর পূজা ও দেবীকে দর্শন করিয়া কাঙ্গড়া প্রদেশ জয় করিয়াছিলেন, বলা বাহুল্য যে মুসলমানগণ ইহা বিশ্বাস করেন না। জ্বালামুখীতে সিদ্ধনাগাৰ্জনা,উন্মত্তভৈরব, বিশ্বেশ্বর প্রভৃতি আরও কয়েকটী দেবমূৰ্ত্তি আছে। এস্থানে ময়দা পিষিৰ।ার একপ্রকার জাতকিল আছে, ঐ সকল কলের মধ্যে একটু নূতনত্ব দেখিলাম। পৰ্বত হইতে যে সকল ক্ষুদ্র নির্বারিণী বাহির হইয়া যে সকল স্থান দিয়া বহিয়া যাইতেছে, সেই সকল স্থানের প্রশস্ততা খুব অল্প, ঐ সকল স্থানের উপর সঁকো দিয়া এক একখানা ঘর করিয়া ঐ ঘরে আটা বা ময়দা পিষিবার জাত স্থাপিত হইয়াছে। জাতার নীচে জলের উপর একটী চাকার মত থাকায় জলের প্রবল স্রোতে সেই চাকা অনবরত ঘুরিতেছে, আর জঁাতা। চালিত হইতেছে। বিনা পরিশ্রমে অনায়াসে কেবল স্রোতের সাহায্যে ময়দা প্ৰস্তুত হইতেছে । ঘরের ভিতর একটিমাত্ৰ লোক বসিয়া থাকিয়া জাতায় গম দিতেছে। এখনকার স্ত্রীলোকেরা দিব্য সুন্দরী । পাজামা পরিয়া পিরাণ ও ওড়না গায়ে দিয়া যখন ইহার রাজপথে চলিতে থাকে, তখন সত্য সত্যই রূপের বিদ্যুৎ খেলিয়া যায়। এদেশে স্ত্রীস্বাধীনতা খুব বেশী, পাণ্ডারাও বেশ ভদ্র। এখানকার তৈরি ভুট্টার আটার রুটি খাইতে বড়ই সুস্বাদ। এই ক্ষুদ্র স্থানের লোকসংখ্যা সহস্ৰাধিক হইবে না। জ্বালামুখীর সৌন্দৰ্য্য অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক,-জলবায়ুও খুব উৎকৃষ্ট । ” .' ۹ . معنی ۹۰۹ بهعنی "*" - "یم. டி தத்." “۹۹۱۴ .....مہین 掌 typower ’ ‘ந்ததுங் " .خلا سي