পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরকেশরীর গৌরব প্রকাশ করিতেছে। আহম্মদ শাহ (দুরাণী-নায়ক) । অত্যাচারে দুই তিনবার নূতন করিয়া মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়। ] আহম্মদ শাহু দুরাণী এতদূর ভিন্ন-ধৰ্ম্ম-বিদ্বেষী ছিলেন যে, কেবলমাত্র শিখদিগের এই মন্দির ভগ্ন করিয়াই তাহার সাধ মিটে নাই। তিনি। নিতান্ত নৃশংসের মত দেবালয়-মধ্যে গো-হত্যা করিয়া তাহা অপবিত্র বীর শিখেরা নানাপ্রকার নিৰ্য্যাতনের মধ্যেই ইহা সহ্য করিয়াছিল, কিন্তু । আহম্মদ শাহের প্রস্থানের পর তাহারাও প্রতিশোধপরায়ণ হইয়া আহম্মদ শাহের নিৰ্ম্মিত সমুদয় মসজিদ ভাঙ্গিয়া সেখানে শূকর হত্যা করিয়াছিল। অমৃতসর সরোবরটি অত্যন্ত বৃহৎ । পুষ্করিণীটি চতুষ্কোণ ; এক এক দিক প্ৰায় ৩২৫ হস্ত দীর্ঘ হইবে। একটা প্ৰবাদ শুনিলাম যে, পাঞ্জাব-নর-সিংহ স্বাগজিৎ ১৭ ক্রোশ দীর্ঘ একটী খাত খনন করাইয়া ইরাবতী নদীর সহিত উক্ত । পুষ্করিণীর সংযোগ করিয়া দিয়াছিলেন। আমরা অনেক অনুসন্ধানেও ইহার | নিশ্চয়তা বা খালের অস্তিত্ব অবধারণ করিতে সক্ষম হুইলাম না । গ্ৰীষ্ম, বৰ্মা, শরৎ, হেমন্ত প্ৰভৃতি প্ৰত্যেক ঋতুতেই ইহা জলপূর্ণ থাকে। সরোবরের ঠিক মধ্যস্থলে শিখদিগের দেবালয়টি অবস্থিত। দেবালয়ের ভিত্তিস্থান একটী সমচতুষ্কোণ বেদী বা দ্বীপ। এই বেদীর উপরেই অমৃতসরের বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির। এই মন্দিরকে শিখেরা “গুরু-দরবার বা “দরবার-সাহেব বলেন।” সরোবরের চতুর্দিকে প্রধান প্রধান সর্দার ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদিগের অট্টালিকা শোভা পাইতেছে। দরবারসাহেব মন্দিরটি দেখিতে অত্যন্ত বৃহদাকারের নয় ; উহা ত্ৰিশ হস্ত সমচতুষ্কোণ-বিশিষ্ট এবং উচ্চতায় প্ৰায় বিশ ফুট হুইবে । মন্দিরের মধ্যদেশে উৎকৃষ্ট চন্দ্ৰাতপ, শিখগুরু নানকেরা- |াির্কশ্বম্ভৰু। সরোবরের তীর হইতে মন্দির পর্যন্ত একটী ইষ্টক ও মার্বেল প্ৰস্তর বঁাধান প্রশস্ত পথ আছে; সরোবরের ধারে ধারেও শ্বেতপাথর বসান থাকায়, তাহা দেখিতে অত্যন্ত মনোহর হইয়াছে। সাধারণের মধ্যে একটা দৃঢ়বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, এই মন্দিরটি স্বৰ্ণপাত দ্বারা মণ্ডিত ; এই জন্যই ইহার নাম “সুবৰ্ণমন্দির’। ইংরেজি ভ্ৰমণকারি نہ | ... ', ,卿,置 . . . . ? ' :’’.ظ?.. ‘‘ r . . . . - . . '. . - -