পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভস্মণ । করাইয়াছিলেন। আবার কাহারও কাহারও মতে স্বয়ং মোকলজী ঐ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ইহা পূর্ব পশ্চিমে ৭২ ফিট দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে ৫০ ফিট বিস্তৃত। মধ্যস্থলে একটী চতুষ্কোণ প্রকোষ্ঠ আছে, উহার উপরের ছাদ খিলান করা এবং ক্রমান্বয়ে উহা গোলাকার ধারণা করিয়া উদ্ধে চূড়ায় শেষ হইয়াছে। মন্দিরের পূর্বদিকে যে একটী ক্ষুদ্র গৰ্ভ-গৃহ আছে তাহা অত্যন্ত অন্ধকারময়, এমনকি দিবাভাগেও বৰ্ত্তিকার সাহায্য ব্যতীত উহার অভ্যন্তরস্থ কোন দ্রব্যই দৃষ্টিগোচর হয় না। মন্দিরের উত্তর দক্ষিণে ও পশ্চিমদিকে তিনটা দরদালান এবং প্ৰবেশ দ্বার আছে । মন্দিরের সর্বত্ৰ প্ৰস্তর খোদিত বহুসংখ্যক মূৰ্ত্তি, সেগুলি বড়ই সুন্দর, কোথাও কুস্ত কাখে করিয়া কোনও মহিলা জল আনয়ন করিতে যাইতেছে, কোথাও কোন বীরপুরুষ রণজয় করিয়া যুদ্ধ হইতে আগমন করিতেছেন, কোথাও বিচারক অপরাধীর বিচার করিতেছেন এইরূপ বহুবিধ সুন্দর সুন্দর মূৰ্ত্তি বৰ্ত্তমান আছে। একে একে সমৃদয় মন্দির ইত্যাদি দর্শন করিয়া অবশেষে আমরা সেই স্থানে আসিলাম, যেখানে একদিন রাজপুত ললনাগণ সতীত্ব রক্ষার্থ আত্মবিসৰ্জন করিয়াছিলেন। এই স্থানে পৰ্বতের গায়ে একটী ক্ষুদ্র মন্দির, পৰ্বতের অঙ্গ হইতে নিরত স্ফটিক-ধারা সদৃশ জলধারা নিৰ্গত হইয়া মন্দির মধ্যস্থিত মহাদেবের মস্তকে নিপতিত হইতেছে—-এই প্ৰস্ৰবণের জলের সাহায্যে সম্মুখস্থ একটী বঁধান পুষ্করিণী সৰ্দদা জল-পরিপূর্ণ থাকে। ইহার দক্ষিণ দিকে অদ্যাপিও একটি সুড়ঙ্গ পথ রহিয়াছে, শুনিলাম যে চিতোরের সুখসমৃদ্ধির দিনে চিতোরের স্বাধীনতার শুভক্ষণে রাজকুমারিগণ এই পথ দিয়া এখানে আসিয়া শিবপূজা ও মনের আনন্দে স্নানাদি কাৰ্য্য নির্বাহ করিতেন । . ১৫১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে দিল্লীর সম্রাট আকবর অসংখ্য সৈন্য লইয়া চিতোর নগর আক্রমণ করিলে দুর্গস্থিত রাজপুত বীরগণ প্রাণপণে দুর্গ রক্ষা করিতে লাগিলেন, কিন্তু অবশেষে যখন আর কিছুতেই দুৰ্গ রক্ষা করিতে পারিলেন না। তখন তাহারা একে একে রণক্ষেত্রে আত্ম-বিসৰ্জন করিতে লাগিলেন—অবশেষে যখন শেষ আশা, শেষ ভরসা-বীরশ্ৰেষ্ঠ জয়মল্লও bob ҹ,