পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মুখস্থ একটী ক্ষুদ্র थट्टेनिक আছে, ইহাতে মকরমুখাকৃতি কারুকাৰ্য্যাদি । আছে ; কথিত আছে যে এস্থানে একজন বৈষ্ণব সাধু বাস করিতেন। প্ৰসিদ্ধ পুরাতত্ত্ববিদ ফাগুসন সাহেব ইহার মকরমুখাকৃতি কারুকাৰ্য্যাদি দর্শনে ইহাকে জৈনভাবের আটালিকা বলিয়া অনুমান করেন । আগ্ৰা দুর্গের যে যোধাবাই মহল দেখিয়া আসিয়াছি তাহাও ঈদৃশ মকরমুখাকৃতি কারুকাৰ্য্য রাশিদ্বারা পরিশোভিত, তাহা বলিয়া কি ঐ অট্টালিকাকেও জৈন প্রভাবের বলিতে হইবে ? অনেক সময় অনুমান অসত্য বলিয়াই প্ৰতিপন্ন হয়। পচিশি ঘরের পূর্বদিকে “দেওয়ানী আম” নামধেয় দ্বিতল অট্টালিকাটি বিরাজিত। কথিত আছে যে, এই দ্বিতল অট্টালিকার একটি প্রকোষ্ঠে প্ৰকাশ্যভাবে উপবেশন । করিয়া সম্রাট বিচারাদি করিতেন । যে কক্ষে বসিয়া তিনি বিচারাদি করিতেন তাহারি সম্মুখভাগে নিম্নে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৩৬০ x ১৮০ ফুট একটী চত্বর। এই চত্বরের চতুর্দিকে বারেন্দা, যে স্থানে বাদসহ বসিয়া বিচার করিতেন, সে স্থানে যাইবার তেমন কোনও সহজ পথ নাই। দেওয়ানী আমের চত্বরের উত্তর পূর্বদিকে ডাকবাংলার রাস্তা, সেই রাস্তার উত্তর পার্শ্বে টাকশালের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু ইহাই যে টাকশাল ছিল তাহার বিশেষ কোনও প্রমাণ বিদ্যমান নাই। খোয়াবাগের অল্পদুরে হামাম বা স্নানাগার। এক সময়ে এই ভগ্নী তমসাবৃত গৃহ নানারূপ সুন্দর সুন্দর চিত্রে পরিশোভিত। ছিল এবং ইহা বিলাসিতার অপূর্ব নিকেতন ছিল, কিন্তু আজ ইহার | সৌন্দৰ্য্য লুপ্ত, কক্ষ ধূলিধূসরিত ও নীরবতার আধার। যেখানে একদিন বিলাসিনী সুন্দরীগণের বিলাস-স্রোতে ও কলকণ্ঠের মধুর বাক্যালাপে । আনন্দ-লহরী নৃত্য করিত, এখন তাহা শৃগাল কুকুরের চরণ-লাঞ্ছিত ও আরাম নিকেতনে পরিণত হইয়াছে। সংসার, এই কি তোমার লীলা ! এই কি ক্ষুদ্র মানব জীবনের চরম সুখ ? খোয়াবাগের দ্বিতল অট্টালিকাটি একদিন নানাবিধ সুন্দর সুন্দর চিত্ৰঘাৱ । পরিশোভিত ছিল, এখনও সে সকলের অস্পষ্ট চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। কথিত আছে যে ইহা সম্রাট আকবরের শয়ন-গৃহ ছিল। বেগমমহল বা ee