পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মরণে আসি মরম পরশে কথা । C S SSSS SS ভূত সে ভারত গাথাও ॥” : . . . ক্রমে যখন রাত্ৰি বৃদ্ধি পাইতে লাগিল,-জন-কোলাহল হ্রাস হইয়া জালিতে লাগিল, মন্দিরে মন্দিরে সন্ধ্যারতির মধুর ধ্বনি নীরব হইয়া গেল, সন্ধ্যাবেলায় বিশ্রাম ঘাটের আরতি অতিশয় উপভোগ্য—সে সময়ে দলে দলে স্ত্রী ও পুরুষ এ স্থানে সমবেত হইয়া আরতি, দর্শন করে, । তখন সেই অল্প পরিসর স্থানে এত লোকের সমাবেশ হয় যে, স্ত্রীপুরুষের সেইরূপ ঠেশাঠেশিটা একটু অসঙ্গত বলিয়া বোধ হয়। ঘাটের মধ্যস্থলে একটী বিপুলকায় ঘণ্টা আছে—আরতির সময় উহার ঘন ঘন নিনাদে চারিদিক প্ৰতিধ্বনিত হইয়া উঠে। বিশ্রাম ঘাটের সান্ধ্যশোভা বিনি। দর্শন করিয়াছেন, তিনি জীবনে কখনও তাহা বিস্মৃত হইতে পারিরেন না । বিস্তীর্ণ সোপােনাবলীর ভিতর চত্বরের পর চত্বর এবং তাহার , পার্শ্বস্থ দেবালয় গুলি বড়ই রমণীয়। বিশ্রাম ঘাটের মত রমণীয় স্থান মথুরায় অতি অল্পই আছে, এখানে উপবেশন করিলে, সর্বপ্ৰকার ক্লাস্তি ও অবসাদ দূরীভূত হয়। এ দৃশ্যের কথা কেমন করিয়া পাঠককে বুঝাইব, তাহা বুঝিতে পারিতেছি না। উদ্ধে অগণ্য তারকামণ্ডিত অসীম নীলাকাশ, আর নিম্নে অগণ্য-প্ৰদীপ শিখামণ্ডিত যমুনা, তীরে . সহস্ৰ-সহস্ৰ কণ্ঠ-বিনিস্ত উল্লাস জড়িত হরি-ধ্বনি । সমুদয়ই স্বন্দর ও শান্তিময়। চারিদিকের শান্ত সৌন্দৰ্য্যের মধ্যে হৃদয়ের শোক-দুঃখ দূরে চলিয়া যায়, শত শোক-কাতর হৃদয়ও বুঝি এখানে শান্তিলাভ করিয়া থাকে। যিনি সংসারের শোকযাতনায় জর্জরিত হইয়া শান্তিহীন হইয়াছেন—একবার তিনি এই মধুময় স্থানে আসিয়া উপবেশন করুন, নিশ্চয়ই শান্তিলাভ করিবেন। যমুনা-বক্ষে ব্ৰজবাসিনী রমণীগণের প্রদীপ ভাসান দৃশ্যটি বড়ই সুন্দর। একটী দুইটী করিয়া একে একে যখন অসংখ্য প্রদীপমালা মৃদুপৱনন্দোলিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যায়—তখন তাহা দেখিতে বড়ই মনোমুগ্ধকর। - বাহাদের প্রদীপগুলি না। ডুরিয়া ভাসিয়া যাইতে লাগিল, তাহারা বিশেষ আনন্দ সহকারে ঘরে