পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বা ওজনে, যাত্রীর পয়সায় নহে। এই ঘাটের নাম সঙ্গমঘাট নহে পরস্তু “বেণীঘাট’-গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী এই ত্ৰিনদীর সঙ্গমস্থল বলিয়া ইহার প্রাচীন নাম ত্রিবেণী । তাহারই সংক্ষেপে বেণীঘাট নাম হইয়াছে। ঘাটে কোন দেবতা বা মন্দির নাই। পাগুদিগের ধবজতলেও কোনরূপ দেবপ্ৰতিমার আড়ম্বর থাকে না । এখানে তীর্থকৃত্যের সফলতা বা ‘সুফলের আশায় তীর্থ ব্রাহ্মণের পদপূজা করিতে হয় না । কুশজলাদি দ্বারা সংকল্প করিয়া পাণ্ডার হস্তে সেই ‘বরণ’ বারি। প্ৰদান করিলেই কাৰ্য্যসিদ্ধ হয় । প্রয়াগের “বেণীমাধব মন্দির বা বিষ্ণুমন্দিরের কথা বাঙলাদেশে যতটা খ্যাত, প্ৰয়াগে ততটা নহে, তবে বহু বাঙালীর দর্শনাগ্রহে সেস্থানটাও ক্ৰমশঃ বিখ্যাত হইয়া উঠিয়াছে। উহা গঙ্গাতীর হইতে বহু দূরে সহরের এক নিভৃত প্রদেশে অবস্থিত। প্ৰয়াগীরা এই দেবতা দর্শন তীৰ্থকৃত্য মধ্যে অবশ্য কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করেন না । বেণীমাধবের মন্দিরটীি একটী উচ্চাটিলার উপর নিৰ্ম্মিত। ইষ্টকের মন্দির, চতুর্দিক উচ্চ প্রাচীরে ঘেরা। মন্দিরের চতুর্দিকে প্ৰদক্ষিণা আছে। জয়পুরের গোবিন্দজীর ন্যায় এই দেবতার গঠন ভঙ্গিমা, তবে ইহা দ্বিভূজ বিষ্ণুমূৰ্ত্তি। দেবতা গরিব নহেন, সুবর্ণের অলঙ্কারাদি বেশ আছে। সেবাধিকারীরা অর্থ-লোলুপ বা যাত্রী-লোলুপ নহেন। অতঃপর বেণীঘাট হইতে ফিরিয়া ‘অলোপী মাতা’ দর্শনে গেলাম। ইহাই প্ৰয়াগের শক্তিপীঠ। দেবী মন্দিরে কোন মূৰ্ত্তি নাই। মন্দির অতি প্রশস্ত। মধ্যস্থলে বিস্তৃত মৰ্ম্মর বেদী। তাহার ঠিক মধ্যস্থলে একটী একফুট চতুরস্ৰ গৰ্ত্ত । শুনাগেল, সেই গৰ্ত্তই দেবী পীঠ, উহার মধ্যেই “দেবী যন্ত্র” খোদিত আছে। গৰ্ত্তের উপরে একটি ক্ষুদ্র ‘পালন” অর্থাৎ শিশুর দোলা দুলিতেছে । ইহাই নাকি দেবীর সাধের আসন। সকল যাত্রী ইহাতে দোল দিয়া থাকে । এখান হইতে গঙ্গার বাঁধের উপর দিয়া নাগরাজ বাসুকী ও নাগেশ্বর শিব দর্শনে যাত্ৰা করিলাম। সে সহর হইতে বহুদূরে অবস্থিত। এই মন্দিরে কতকগুলি প্ৰস্তর ফলকে উৎকীর্ণ নাগমুক্তি ও বহুফণা বাসুকী মূৰ্ত্তি অবস্থিত। মূল মন্দিরের অপর পর্শ্বে নাগেশ্বর শিব মন্দির। এই স্থানটি বড় মনোরম ৷ মন্দিরের বোধ হয় ১০০ ॥১৫০ स्थळांक्षी मांडली ।