পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" " , ،جب :-", ধ্যানমগ্ন ছিলেন তখন প্রতিদিবস বিষ্ণু আঁহাকে সহস্ৰ পুষ্প দ্বারা পূজা করিতেন। একদিন বিষ্ণুর সংগৃহীত সহস্ৰ পুষ্প হইতে মায়াবলপ্ৰভাবে মহাদেব একটী ফুল হরণ করিলেন – বিষ্ণু পুষ্পাঞ্জলি দিবার সময়ে দেখিতে পাইলেন যে সহস্রের মধ্যে একটী পুষ্প কম। --তখন নিরুপায় হইয়া স্বকীয় নেত্ৰকমল উৎপাটিত করিয়া মহাদেবকে উৎসর্গ করিলেন, মহাদেবের কপালে সেই নেত্রটি পতিত হইবামাত্রই উহা চক্ষু হইল—এবং তদবধি তিনি ত্ৰিলোচন নামে অভিহিত হইতে লাগিলেন । ত্ৰিলোচন দেবের বর্তমান মন্দির নাথুবালা নামক পুনানগরীর জনৈক শ্রেষ্ঠ অধিবাসীকর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই মন্দিরের সীমামধ্যে অনেক দেবমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়, ছোট ছোট মন্দিরের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নহে। ত্ৰিলোচনদেবের মন্দিরের বারান্দা আটটা সুন্দর সুন্দর লালবর্ণের থামের উপর স্থাপিত উহার ছাদ নানাবর্ণে অতিশয় সুন্দরভাবে চিত্রিত। প্রবেশপথের পাশ্বদেশে একটী শ্বেতপ্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত বৃহৎ বৃষভমূৰ্ত্তি দেখিলাম। এস্থানে নিপুণতার সহিত বহুদেবদেবীর চিত্র ও শিখগুরু নানকের প্ৰতিমূৰ্ত্তি অঙ্কিত রহিয়াছে। এখানকার চিত্রাবলী মধ্যে একখানি চিত্র বড়ই সুন্দর ও শিক্ষাপ্রদ। সেই চিত্ৰখানাতে নরক ও মৃত্যুনদীর দৃশ্য আতিশয় সুন্দর। দেহাবসানে স্বীয় স্বীয় পাপানুষ্ঠানের জন্য মানবগণ কিরূপে দণ্ডিত হয়- অনন্ত প্রবহমান। --অনন্ত রেগশালিনী কালতরঙ্গিনীর পরপারে। যাইবার জন্য মানবের কিরূপ ব্যাকুলভাব হয়, এই চিত্রে তাহা এরূপ । স্বাভাবিক ভাবে চিত্রিত রহিয়াছে যে, আপনা হইতেই মনের মধ্যে নৈরাশ্যের ও মৃত্যুর কালোছায়া আসিয়া পতিত হয়,-মনে পড়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষ অভিনয়ের কথা—কে জানে জীবনাঙ্কের শেষ যবনিকা কখন পতিত হইবে । ত্ৰিলোচনঘাটের প্রাচীন নাম “পিলিপিলা৷” তীর্থ। । এক দিবস কেদারেশ্বর দর্শন করিবার জন্য কেদারঘাটের দিকে গমন কোব্দে ও করিলাম। কাশীর বাঙ্গালীটােলায় কেদারেশ্বরের মন্দির কেদারঘাট। অবস্থিত, এ অঞ্চলেই বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব বেশী, অধিকাংশ বাঙ্গালীই এ স্থানে বাস করেন। আমরা যখন এ স্থানে আসিয়াছিলাম, তখন তিমিরাবগুষ্ঠিতা সন্ধাসতী চারিদিক আবৃত করিয়া ফেলিয়া- ? e