পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী বা জগন্নাথ । বিভক্ত, এই মন্দিরে ও তদ্রুপ ভোগমণ্ডপ, নাট-মন্দির, মোহন ও মূল মন্দির এই চারি বিভিন্ন অংশ দর্শন করিলাম। লক্ষনীদেবীর মূল মন্দির অতিশয় প্রাচীন, কাহারও কাহারও মতে ইহা মহারাজ চোড়গঙ্গ। কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত । হইয়াছে। লক্ষনীদেবীর যে ভিন্ন পাকাগৃহ আছে তাহাতে প্ৰায় সাধারণ সমুদয় বিগ্রহেরই ভোগাল্প প্ৰস্তুত হয় । সর্বমঙ্গলা কালীমূৰ্ত্তি—লক্ষীদেবীর মন্দিরের পশ্চিমদিকে একটী ছোট মন্দির মধ্যে সর্বমঙ্গলা কালীমূৰ্ত্তি বিরাজিতা । ইহার পরে ক্রমান্বয়ে রাধাকৃষ্ণের মন্দির, সূৰ্য্যনারায়ণের মন্দির, পাতালেশ্বর প্রভৃতি বহু দেব মন্দিরাদি অবস্থিত। শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মন্দিরের ঈশাণিকোণে রাধাশ্যাম । ও ভোগমণ্ডপের ঈশানকোণে গৌরাঙ্গদেবের মূৰ্ত্তি, রাধাশ্যাম ও গৌরাঙ্গদেবের । মন্দির মধ্যস্থলে একটা দ্বার আছে এই দ্বারের মধ্য দিয়া স্নানের বেদীতে যাইতে হয়। এই বেদীর উপরেই জন্মোৎসব বা স্নানযাত্রা হয়, এই স্নান-মণ্ডপের অগ্নিকোণে চাহনিমণ্ডপ, এখানে জগন্নাথদেবের স্নান দর্শনার্থ লক্ষনীদেবী আগমন করেন । ভোট-মণ্ডপ-সিংহদ্বার দিয়া প্ৰবেশ করিলে দক্ষিণদিকে ভোট-মণ্ডপ দৃষ্ট হয়, শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেব গুণ্ডিচাদেবীর মন্দিরে গমন করিলে লক্ষনীদেবী। তাহার অপেক্ষার নিমিত্ত এখানে আসিয়া থাকেন। বাইশ পৈঠার উত্তরদিকে পাণ্ডার গৃহে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মহাপ্ৰসাদ বিক্ৰী হইয়া থাকে। মন্দিরে গমন করিয়া যাত্ৰিগণ সাধারণতঃ প্ৰথমে কলুবট বা অক্ষয়বট ও গরুড়কে নমস্কার করিয়া সুভদ্ৰা বলরাম ও শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবকে দর্শন করিয়া থাকেন। আজকাল গভৰ্মেন্টের কৃপায় দেবদর্শনের বহু সুযোগ । হইয়াছে—পূর্বে একত্রে এত লোক ঢুকিত ও এইরূপ ভিড় হইত। যে তাঁহাতে । অনেক ক্ষণজীবী যাত্রীর প্রণান্তের যোগাড় হইয়া উঠিত। আমরা আমাদের সঙ্গীয় বহু যাত্ৰিগণ সমভিব্যহারে সিংহদ্বারা দিয়া প্ৰবেশ করিলাম এবং প্রাঙ্গণস্থ সমগ্র দেবদেবীর মন্দির মধ্যে প্রবেশ করিয়া দর্শন করিলাম, সমুদয় দেবতার অত্যধিক বিবরণ দেওয়া অসম্ভব এবং পাঠকগণেরও তাহা বিশেষ চিন্তাকর্ষক হইবে না বলিয়াই ইতিপূর্বে সংক্ষেপে বিবৃত করিয়াছি । মন্দিরের প্রাঙ্গণে দলে দলে স্ত্রী-পুরুষ যাত্রী প্রবল স্রোতের . . . . . . . , . . . . . . । 8