পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । , সংস্কৃতচৰ্চার জন্য ইহা চিরদিনই প্রসিদ্ধ। এক সময়ে জ্যোতিষ-শাস্ত্রের চর্চার • জন্যও যে এস্থান প্ৰসিদ্ধ ছিল, তাহা জয়পুরের মহারাজা জয়সিংহের নিৰ্ম্মিত প্ৰসিদ্ধ মান-মন্দির দৃষ্টেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, অনেকেই ইহা মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া ভুল করিয়া থাকেন। মহারাজা মান-সিংহ তীর্থযাত্রী এবং বিদ্যার্থীদের সুবিধার জন্য মান-মন্দির নামক প্ৰাসাদটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, কিন্তু জ্যোতিষিক যন্ত্রাদি মহারাজা সবাই জয়-সিংহের সময় স্থাপিত হয়। হিন্দু জ্যোতির্বিদগণ এক সময়ে জ্যোতিষ-শাস্ত্রের যে কতদূর উন্নতি করিয়াছিলেন, এই মান-মন্দির ইহার পূর্ণ পরিচায়ক। দিল্লীশ্বর মহম্মদ সাহের আদেশে নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ণয় করিবার জন্য জয়পুর-রাজ জয়-সিংহ কাশী, দিল্লী, মথুরা, উজ্জয়িনী ও জয়পুর এই পাঁচ স্থানের পাঁচটা মান-মন্দিরে ব্যবহারের জন্য প্ৰাচীন আৰ্যাজ্যোতিষের সাহায্যে “জয়প্ৰকাশ, রামযন্ত্র ও সমাটযন্ত্র” নামক যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করেন। মান-মন্দিরের শিল্পনৈপুণা এবং বাতায়নাদির গঠনপদ্ধতি পরিদর্শন করিলে নিৰ্ম্মাতার অপূর্ব কলা-বিজ্ঞানের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। মন্দিরে প্রবেশ কৱিলেই সম্মুখে ১১ x ৯০ বিস্তৃত একটি দেওয়াল, ইহার নাম ভিত্তিযন্ত্র ; এই যন্ত্রের সাহায্যে সূৰ্য্যের নানাবিধ গতির বিষয় অবগত হওয়া যায়। এই যন্ত্রের নিকটে গ্ৰহাদির গতি নিৰ্ণয় করিবার জন্য একটি যন্ত্ৰ-ঐ যন্ত্রের পরেই সামন্ত বা সম্রাটযন্ত্র। ইহার দেওয়াল ৩৬ × ৪ ফুট । এক দিক ৬ × 8৷ ইঞ্চি, অপরদিক ২২ × ৩৷ ইঞ্চ উচ্চ । এই যন্ত্রের সাহায্যে সূৰ্য্য ও গ্রহনক্ষত্রবৃন্দের উদ্ধ এবং অধঃগতির বিষয় জ্ঞাত হওয়া যায়। সামন্তব্যন্ত্রের সন্নিকটে আরো দুইটা ভিত্তিযন্ত্র আছে। এখানে জয়-সিংহের আবিষ্কত ভিত্তিযন্ত্র, চক্ৰযন্ত্র প্রভৃতি আরও কতকগুলি যন্ত্র আছে, জয়-সিংহ এ সকল যন্ত্রাদির সহায়তায়ই পাশ্চাত্য জ্যোতির্বিদ হিপার্কাস, টলেমি প্ৰভৃতির যুক্তির ভ্রমপ্রদর্শন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । কাশীর সিকরোল নামক স্থানেই ইংরেজ কৰ্ম্মচারিগণ বাস করেন এবং সেখানেই আফিস আদালতাদি প্রতিষ্ঠিত। রাস্তাঘাট প্রশস্ত ও সুপরিষ্কত। এখানে সাত আটটার বেশী বড় রাস্তা নাই, অধিকাংশই গলি । Ro भांन-मन्द्रि ।