পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ উহার বহির্ভাগে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত চত্বরে বদ্ধ একটী যুপকাষ্ঠে প্ৰত্যহ পশুবলি হইয়া থাকে। মন্দিরের অনতিদূরে উত্তর ভাগের একটী কক্ষ মধ্যে পাঁচ ফুট ব্যাসের একটী কুপ নাভিগয়া নামে প্ৰসিদ্ধ, সে স্থানে তৰ্পণ করিয়া পিতৃমাতৃ প্ৰভৃতির উদ্দেশে পিণ্ড ঐ কৃপ মধ্যে নিক্ষেপ করিতে झ् । বিরজাদেবীর মন্দির হইতে কিছুদূরে যাজপুরনগরের প্রায় এক মাইল চণ্ডেশ্বৱন্তজ্ঞ, কীৰ্ত্তিস্তম্ভ দূরে চণ্ডেশ্বর নামক গ্রামে একটা স্তম্ভ আছে, ইহাকে বা শুভস্তম্ভ। কেহ চণ্ডেশ্বরস্তম্ভ, কেহ শুভস্তম্ভ, কেহ গরুড়স্তম্ভ কেহ বা কীৰ্ত্তিস্তম্ভ কহিয়া থাকেন। স্তম্ভটি জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে বিদ্যমান আছে। বহু যাত্রী এই স্তম্ভটি দেখিতে আসে বলিয়া সম্প্রতি গ্রামবাসিগণ একটীি কুটীর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। স্থানটি বড়ই বিজন,—লোক সমাগম বিহীন। স্থানীয় লোকে ইহাকে ‘সভাস্তম্ভ কহিয়া থাকে। উহা লম্বে প্রায় ৩৬ ফুট ১০ ইঞ্চি স্তম্ভটির নিম্নভাগ হইতে উৰ্দ্ধদেশ পৰ্য্যন্ত ৯ ফুট অবশিষ্টাংশ চুড়াদেশ। পূর্বে ইহার উপরে একটি গরুড় মূৰ্ত্তি স্থাপিত ছিল, ছিল, এখন স্তম্ভের উপরিস্থিত সেই গরুড় মূৰ্ত্তি চণ্ডেশ্বর গ্রাম হইতে প্ৰায় ১॥০ মাইল দূরে এক ঠাকুর বাড়ীতে রক্ষিত হইয়াছে। ইহার মূলদেশস্থ একটা ছিদ্ৰ দেখিয়া অনেকে অনুমান করেন যে, পাঠানগণ দড়ি বাধিয়া টানিবার নিমিত্ত এই স্তম্ভে ছিদ্র কাটিয়াছিল । কাহারও কাহারও মতে ইহা ব্ৰহ্মার অশ্বমেধ যজ্ঞের স্তম্ভ, আবার কেহ কেহ এইটিকে সোমরাজবংশীয় নৃপতিবর্গের কীৰ্ত্তিস্তম্ভ বলিয়া কহেন। যে যাহাই বলুক, প্ৰকৃত ইতিহাস এ পৰ্য্যন্ত কেহই স্থির করিতে পারেন নাই,-কখনও কেহ পরিবেন। কিনা তাহাও বিশেষ সন্দেহ স্থল। মুসলমানগণ এই স্তম্ভটিকে ধবংস করিবার জন্য বহু চেষ্টা করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। কোন কোনও প্রত্নতত্ত্ববিদ ইহার শিরোদেশস্থ শিল্প কাৰ্য্যাদি দর্শনে ইহাকে বৌদ্ধ সম্রাট অশোকের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া অনুমান করেন। এই অনুমান অসম্ভব ও অস্বাভাবিক বলিয়া মনে হয় না । উহার উপরিভাগে প্ৰতিষ্ঠিত গরুড় মূৰ্ত্তি সম্ভবতঃ পরবর্তী যুগে বৈষ্ণব বংশীয় নরপতিগণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সুবিখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ মহাত্মা ফাগুসন সাহেব এই স্তস্তািটীর <叠心