পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟ ভিঙ্গলপৎ হইতে মহাবলীপুর দর্শন করিতে গমন করিলাম। পৌরাণিক প্ৰবাদ এই যে এস্থানে প্ৰাচীনকালে সুপ্ৰসিদ্ধ দানবীর বলী রাজার রাজধানী ছিল। মান্দ্ৰাজ নগরী হইতে ৩৫ পয়ত্ৰিশ মাইল দূরে এই ক্ষুদ্র সহরটা অবস্থিত। কথিত আছে যে এই স্থানেই শ্ৰীকৃষ্ণ বামনাবৃতারে বলী রাজাকে ছলনা করিয়াছিলেন। নগরের দক্ষিণাংশে পাঁচখানি রথ अicछ : এ স্থানে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দির গুলিকেই রথ কহিয়া থাকে। মহাবলীপুরের পশ্চিমদিকে পর্বত-গাত্রে বহু খোদিত মন্দির ও অন্যান্য দেব মন্দিরাদি দৃষ্ট হইয়া থাকে। নগরের মধ্যভাগে বিষ্ণুমন্দির ও শিবমন্দির বিরাজিত। এই দুইটি মন্দির ও পাঁচটী রথ ধরিয়া সাহেবেরা এ স্থানের নাম (Seven pagoda) বলিয়া থাকেন। মন্দিরগুলি অধিকাংশই সমুদ্র তটে অবস্থিত। নীলাম্বুময়ীর চঞ্চল-তরঙ্গ-বিধৌত বেলাভূমির অনতিদূরে এই সমুদয় দেব-মন্দিরগুলি অবস্থিত বলিয়া দেখিতে পরম রমণীয় বোধ হয়। প্রত্যেক মন্দির-গাত্রেই নানাবিধ ফুল, ফল ও পৌরাণিক দৃশ্য সমূহ ভাস্কর বিদ্যার অপূর্ব নৈপুণ্যের সহিত অঙ্কিত। কোনও মন্দিরে অর্জন কঠোর তপস্যায় নিরত, কোনটিতে বামন ভিক্ষা, কোনটিতে শেষ নাগারোহণে বিষ্ণু উপবিষ্ট, কোনটিতে বা শিব ও পাৰ্বতীর বিগ্ৰহ, কোনটিতে বিষ্ণুর বরাহ মূৰ্ত্তি, ইত্যাদি বহুবিধ মূৰ্ত্তি খোদিত রহিয়াছে। এতদ্ব্যতীত বরাহস্বামীর মন্দির, দুর্গার মন্দির ও বলিপীঠ প্ৰভৃতি দর্শনে বিস্ময়ে পুলকিত হইতে হয় ; এখান হইতে সমুদ্রের দৃশ্য বর্ণনাতীত। তটে দাড়াইয়া অনন্ত নীলিমাময় অনন্ত মহাসাগরের উদ্বেলিত তরঙ্গ নিচয় দর্শন করিলে হৃদয় বিমােহিত হয়। স্মৃষ্টির বৃহৎ ও সুন্দর সাগর ও ভূধরের মত আর কিছুই নাই। মহাবলীপুরের সর্বত্রই তাল, নারিকেল ও সুপারি বৃক্ষাদি সুপ্রচুর। চিঙ্গলপৎ হইতে সাদ্রস ব্রিজ (Sadras), ১৮ মাইল দূর, এই আঠারো মাইল ঝাঁটুকায় আসিয়া, বক্ৰী পাঁচ মাইল নৌকায় যাইতে হয়। চিঙ্গলপৎ হইতে সাদ্রস ব্রিজ যাইতে বটুকার ভাড়া ২০ টাকা এবং সে স্থান ((r