পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা রাত্ৰিযোগে সেতুবন্ধ রামেশ্বরের উদ্দেশে মাদুরী নগর পরিত্যাগ। করিলাম। যিনি একবার মাদুরার দেবমন্দির ও সহস্ৰমণ্ডপ প্ৰভৃতি ভাস্করfirst ve চিত্র-চাতুৰ্য অবলোকন করিয়াছেন, তিনি জীবনে তাহা কখনও ভুলিতে পরিবেন না। লেখনীর এমন সাধ্য নাই যে, ভাষায় সেই অপূর্ব শিল্পচাতুৰ্য্যের পূর্ণ অভিব্যক্তি করিতে পারে। হায়! একদিন সোনার ভারতে সবই ছিল ; কিন্তু আমরা কৰ্ম্মদোষে সে সবই হারাইয়াছি। প্রাচীন ভারতের শিল্পচাতুৰ্য্যাদি দর্শন করিলে হৃদয়ে যুগপৎ আনন্দ ও নৈরাশ্যের সঞ্চার হয়। নায়ক-বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বনাথ নায়কের সহকারী আৰ্য্য নায়কের প্রতিষ্ঠিত যে সহস্ৰমণ্ডপের কথা আমরা পূর্বে উল্লেখ করিয়াছি, বৰ্ত্তমান সময়ে উহাতে ৯৯৭টি স্তম্ভ বিদ্যমান আছে। রেলপথ হইবার পর মাদুরার বাণিজ্য অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। এখন সমগ্ৰ দক্ষিণভারত ও সিংহল পৰ্য্যন্ত ইহার বাণিজ্য বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছে। পণ্যদ্রব্যের মধ্যে চাউল, তামাক, কাপাসবন্ত্র, লোণা, লবণ, নোনা মাছ, গন্ধদ্রব্য ও নানাবিধ মশলাই প্ৰধান । মাদুরার অধিবাসিগণ সকলেই বিশুদ্ধ তামিল ভাষায় কথোপকথন করিয়া থাকে । . . দেবাৰ্চনা সম্বন্ধে নিয়ম এই যে, সর্বপ্রথমে শিব-গঙ্গাতীর্থে সলিল স্পর্শ করিয়া বিশ্বেশ্বর সুন্দর লিঙ্গের ও মীনাক্ষী দেবীর পূজা করিতে হয়। তাহার পর যাত্রীরা সহস্ৰস্তম্ভ মণ্ডপ, বসন্ত মণ্ডপ ইত্যাদি দর্শন করেন। মাদুরায় বাঙ্গালী যাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত অল্প । এখানে অসংখ্য ছত্র ও হোটেল আছে । সুতরাং যাত্রীদিগকে আবাস ও আহারাদির কোনওরূপ অসুবিধা ভোগ করিতে হয় না । * (?:RNA