পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্রাটু বাবর ১৫২৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মৃগয়া করিতে আসিয়া কিছুদিন এখানে অবস্থিতি করিয়াছিলেন সে সময়ে এই মসিদ প্ৰস্তুত হয়। রামচন্দ্রের জন্মমন্দিরস্থ কষ্ট পাথরের কয়েকটী স্তম্ভ অস্থাপি বাবরের মসিদে দেখিতে পাওয়া যায়। পূর্বে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে মন্দির ও মসিদ লইয়া খুব দাঙ্গা-হাঙ্গামা হইত, কিন্তু ব্রিটিশ শাসনাধিকারের পর হইতে জন্মস্থান ও মসিদের মধ্যে রেলিং দেওয়া হইয়াছে, এখন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনওরূপ গোলযোগ নাই । ] অযোধ্যায় প্রবেশ করিলেই নয়ন সমক্ষে মণিপৰ্বত দৃষ্ট হয়। ইহা মণিপৰ্বত, সুগ্ৰীব- প্ৰায় ৪৪ হস্ত উচ্চ, রামায়ণের মতে লক্ষমণ শক্তি BBB 0 DDDS S SJS0S qJYS SASAS qSqSqqq S SLS S ASASAS পৰ্ব্বত । শেলে পতিত হইলে, হনুমান বিশল্যকরণী চিনিতে না পারিয়া গন্ধমাদন পর্বত লইয়া যখন লঙ্কাভিমুখে যাইতেছিল, সে সময় । অযোধ্যার উপর আসিলে, ভরত বাটুলাঘাত করেন, সেই বাটুলাঘাতে হনুমান ভূমিতে পতিত হইলে গন্ধমাদনের কিয়দংশ ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল—এই মণিপৰ্বতকেই সেই ভগ্নাংশ বলিয়া অযোধ্যাবাসিগণ বলিয়া থাকেন। এই উচ্চ স্থানটী ইট, পাথর ও কঙ্করের পাহাড় বলিলেও অত্যুক্তি হয় না; কারণ ইহার কলেবর উহা দ্বারাই পরিপূর্ণ। এই স্তপের নিম্নে যে খােদিত লিপি পাওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে মগধরাজবংশীয় নানুবৰ্দ্ধন । নামক জনৈক নৃপতি কর্তৃক ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত অযোধ্যায় সুগ্ৰীব-পদাৰ্বত এবং কুবের-পৰ্বত নামক আরও দুইটী স্তুপ আছে--তন্মধ্যে। প্রথমটা প্ৰায় ৬ হাত উচ্চ এবং কুবেরপর্বত প্ৰায় ১৪ হাত উচ্চ। কোন কোন প্রত্ন-তত্ত্ববিদ ইহাদিগকে বৌদ্ধ-স্তােপ বলিয়া অনুমান করেন, এ অনুমান নিতান্ত অসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। মণিপৰ্ব্বতের নিকট দুইটা সমাধি দেখিলাম, উহার একটীতে সেথ এবং অপরটাতে জব নামক পৈগম্বর সমাহিত আছেন। এস্থানে সোমগিরি নামক যে দুইটা ছােট ছােট স্তুপ দেখিলাম তাহাদের সম্বন্ধে কেহই কিছু বলিতে পারিল না। অযোধ্যাতে ነ এখন প্রায় সর্বশুদ্ধ ৯৬টী মন্দির আছে, ইহার মধ্যে ৬৩টীি । -भनि