পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা বিজ্ঞান ৷ ○○○。 দৃশুকাব্য। ৫৫। কাব্যোল্লিখিত ব্যক্তিগণের কার্য্য এবং কথা ভদকৃতিধারী ব্যক্তিগণেৎ সম্পন্ন হইলে, তাহাকে দৃশুকাব্য বলা যায়। 豐 ৫৬। দৃশু কাব্য সচরাচর প্রাকৃত ভাষায় রচিত হয় এবং তাঁহাই, হওয়া উচিত। এইরূপুস্ত-কাব্যের নাম নাটক । 画 দৃপ্ত কাব্য ব্যক্তিগণের প্রকৃত কথোপকথনরূপে প্রকাশিত হয় সুতরাং তাহ প্রাকৃত ভাষায় রচিত হইলে প্রকৃত্তির অনুগত হয়। পন্তে দৃশুকাব্য রচনা হইতে কদাচিৎ দেখা যায়। যদি পদ্যে দৃগু কাব্য হইতে পারে তবে গন্তে এবং গানে ও রচিত হইতে পারে। ৫৭। পষ্ট্রে রচিত দৃষ্ঠ কাব্যের নাম সাটক এবং গানে রচিত দৃপ্ত কাব্যের নাম যাত্রা । ৫৮। গদ্যে কোন দৃগু কাব্য নাই সুতরাং তাহার নাম ও নাই। শ্রোব্যকাব্য । ৫৯। যে কাব্য শ্রবণ বা পাঠ করা যায়, তাহার নাম শ্রোব্যকাব্য । শ্রোব্যকাব্য তিন প্রকার ( ১ ) গদ্যময় ( ২ ) পদ্যময় ( ৩ ) গীতময় । ৬০ । যে কাব্যে ৮e • e বা তদধিক শ্লোক বা বাক্য থাকে তাহার নাম মহাকাব্য। যথা মহাভারত, মেঘনাদবধকাব্য, কৃত্তিবাসের রামায়ণ ইত্যাদি। ৬১। ষে কাব্যে এক সহস্রাধিক অষ্ট সহস্রাতমূ্যন শ্লোক বা. বাক্য থাকে, তাহার নাম খণ্ডকাব্য। যেমন কাদম্বরী, পদ্মিনী উপাখ্যান ইত্যাদি। ৬২। ষে কাব্যে সহস্ৰ শ্লোকের কম থাকে তাহাকে লঘুকাব্য বলা যায়। ৬৩। যে কাব্যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় লিখিত হয় না। মান বিষয়ক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বহু কবিতা লেখা থাকে তাহাকে কোষকাব্য বলে। যথা সম্ভাব শতক । ৬৪। উচিত বিদ্রুপ পূর্ণ কাব্যের নাম খটুক। যেমন "জালালের ঘরের দুলাল”, "হুতুম পেচা” “হক কষ্ণু” ইত্যাদি। 蠱 ৬৫। অতি ক্ষুদ্র বিষয়ে বহু বাগাড়ম্বর করিয়া লিখিলে কট্‌কিনা হয়। যেমন “ভেক মুষিকের যুদ্ধ”। ইহা কাব্যের মধ্যে সৰ্ব্বনিকৃষ্ট ।