[ ৬ ]
ভাষার মধ্যে বোধ হয় পিতৃ মাতৃ বোধক শব্দই সৰ্ব্ব প্রাচীন । এই দুই শব্দ সংস্কৃত, পারসী, লাটিন এবং গ্রীক ভাষায় প্রায় তুল্য দেখা যায়। ষে কিঞ্চিৎ ভিন্নতা আছে তাহ কেবল বহু কাল পার্থক্য হেতু উচ্চারণ ভিন্নতা দ্বারা সস্তুত হইয়াছে। মূলতঃ তাহারা যে একই শব্দ ছিল তাঁহাতে কোন সন্দেহ নাই ; সুতরাং এই দুই শব্দ-উৎপন্ন হওয়া কালে এই ভাষাবাদীদের পূর্ব পুরুষেরা এক দল ভুক্ত ছিল তাহ সঙ্গত রূপেই অনুমান হইতে পারে। আবার গ্রীক অপেক্ষ লাটিনের এবং তদপেক্ষা প্রকৃত পারসীর সহিত সংস্কৃতের অধিকতর ঐক্য দেখা যায় । ইহাতে অনুমান হয় ষে গ্ৰীক জাতি সৰ্ব্বাগ্রে ভিন্ন হইয়াছিল। তৎপরে লাটিন ও পারসিকেরা পরতঃপর ভিক্ষ হইয়াছে * । অথচ ইহাদের বর্ণমালা ভিন্ন দেখিয়া জানা যায় যে, লেখ্য ভাষা স্বাক্টর পূৰ্ব্বেই ইহারা সকলেই পৃথক হইয়াছিল। এই রূপ আরবী হিব্রু এবং আর্থানি ভাষার ঐক্য দেখিয়া আরব ইহুদি এবং আর্মানিদের এক মুল জনা যায় । কিন্তু আর্য্যভাষার সহিত তাহদের কোনই ঐক্য নাই। ইহাতে অনুমান হয় ষে, তাহার এক মূল সস্তুত নহে । অথবা ভাষা স্বষ্টির পূর্বেই ভিন্ন হইয়াছিল 1 । صفحے تختص– يقصد عصطلصـ. -ਨ਼ਗ਼ਾ ཟས་=“ -اپ
- মুসলমান ধর্মের স্বষ্টির পর আরব জাতির পরিস্ত দেশ জয় করিয়| তথায় মুসলমান ধর্মের সঙ্গে সঙ্গে আরবী বর্ণমালা প্রচলিত করিয়াছিল। প্রাচীন কালীয় প্রকৃত পারসী আর্য ভাষা মুলক এবং তাহ বাম দিক্ হইতে ডানদিকে লিথিতু হইত। ইংরেজী এখন লাটুন বর্ণমালা দ্বারা লিখিত হয় কিন্তু সাক্সন বর্ণমালা পৃথক। আদিম পারসীকে এখন জেন্দ ভাষা বলে ।
+ মুসলমান ও খৃষ্টানদের মতে সমস্ত মনুষ্যই এক মূলোস্তব । কিন্তু ইহা অযৌক্তিক অনুমান মাত্র। মহাসমুদ্রের মধ্যে নিতান্ত অসভ্য লোকাবিষ্ট বহু ক্ষুদ্র দ্বীপ দেখা যায়। তাহারা অন্যত্র হইতে তথায় গিয়াছে অথবা তথা হইতে লোক অস্তান্ত দেশে গিয়াছে এই উভয়ই অসম্ভব । কারণ কোন রূপ তরণী নিৰ্মাণ করিয়া প্রকাও সমুদ্র অতিক্রম করা তাদৃশ অসভ্য জাতিতে সম্ভব নহে । মনুষ্য জাতির অীকৃতি প্রকৃতি ও বর্ণ এত বিভিন্ন যে তাহারা এক মূলোৎপন্ন হওয়া কদাচ সম্ভব নহে। অনুমান ৰ যে কলিযুগ সন্ধ্যাঙ্কালীন জলপ্লাবনে ইহুদি দেশের বহু লোক মরিয়াছিল কেবল লোর এবং তৎপরিবারগণ পৰ্ব্বতাশ্রয়ে বাচিয় ছিল । ই অসভ্য পরিবার দুর দেশের সংবাদ জানিত না ; স্বতরাং দশ পনর ক্রোশের মধ্যে সমস্ত লোক মৃতদেখিয়া বিবেচনা করিল খে “পৃথিবীর সমস্ত লোক মরিয়াছে কেবল আমরাই জীবিত আছি।” ইহুদি আরব জাতি সেই নোয়ার বংশ । তজষ্ঠ শ্বেই ভ্রম তাছাদের মধ্যে স্থির ছিল। মুসলমান ও পৃষ্টান ধর্ম এই দুই
