বাঙ্গালী ব্যাকরণ سراه ২৪৮ । ঞি, সন, যঙ প্রত্যয়ের পর আর একটি প্রত্যয় হয়, নতুবা শব্দ সম্পূর্ণ হয় না । এজন্য এই তিনটিকে অনুবন্ধ বলে । অন্তান্ত কুং প্রত্যয় একটি ধাতুতে যোগ হইলে তাহার পর আর অন্ত কৃৎ যোগ श्ध्न न ! টীকা . এস্থলে কৃৎ সমূহের যে রূপ নাম লেখা গেল, সংস্কৃত নাম হইতে, তাহ বিস্তর বিভিন্ন । কিন্তু সংস্কৃতে নাম অন্যরূপ হইলেও কাৰ্য্যত সেই সকল ক্লং প্রত্যয়ের যাহা থাকে, আমি এস্থলে তাহাই লিখিলাম। সংস্কৃত ভাষায় যতি চিত্ন প্রায় ব্যবহৃত হয় না, শক সকল একত্র মিলিত করিয়া লেখা হয় এজন্ত তাহাতে এরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভক্তি লিখিলে তাহা বোধগম্য হয় না। এই হেতু আদি ভাষায় প্রত্যয়ের নামে অনেক বর্ণ বিশিষ্ট শব্দ প্রয়োগ হয় আবার তাহা হইতে অনাবশ্বক বর্ণ গুলি ইং দিতে হয়। কিন্তু বাঙ্গালা ভাষায়তাদৃশ গোলযোগ সম্ভাবনা নাই। সুতরাং আমি প্রত্যয়ের অনাবশু্যক অংশ ত্যাগ করিয়া লিখিলাম। পরন্তু যেখানে সারাংশ মাত্র লিখিলে গোল যোগ সম্ভাবনা, সেখানে সংস্কৃত নামই ঠিক রাখিলাম । যেমন অল, ঘণ্ড, ড, ণ এই চারিটি প্রত্যয়েরই কেবল “অ’ থাকে ; ক্যাপg ঘান, য, যঙ ইহাদের কেবল "য" থাকে ; ইত্যাদি স্থানে সংস্কৃত নাম স্থির রাখিলাম । ২৪৯ । ধাতুর সহিত “কুৎ” যোগ কালে যে সকল পরিবর্তন হয়, তাহাকে কুং প্রত্যয়ের প্রক্রিয়া বলে । * - ২৫• । ধাতুর পূৰ্ব্বে প্রক্রিয় কালে কোন শব্দ বা শব্দাংশ থাকিলে তাঁহাকে ধাতুর পূর্বক বা পূৰ্ব্বগ বলে । আক । হ৫১ । ধাতুর পর কেবল কুর্তৃবাচ্যে “অক” প্রত্যয় হয় । ২৫২ । অক যোগে ধাতুর নিম্ন লিখিত প্রক্রিয় হয়— উপস্থত্র ( ১ ) ধাতুর অন্তে হলবর্ণ থাকিলে “অক” প্রত্যয়ের আস্ত “অকার” সেই হলবর্ণে যুক্ত হয়। ধাতুর অস্ত্য হলবর্ণ অকার যুক্ত থাকিলে সেই অ কার লোপ পায় ।
