পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুন, ১৯০৯ ] গ্যাঙ্গীয়ন সেল ও গ্ল্যাণ্ড সেল সমূহ এইজন্ত অল্পক্ষণ স্থায়ী ও ইহা হইতে এই জাতীয় সেল জন্মাইতে দেখা যায় না । মেরুদণ্ডী জীবের অণ্ড ও এমিবা বহুসংখ্যক সেল বংশ উৎপন্ন করে । সেলের আভ্যন্তরীণ কারণ জনিত যে মৃত্যু তাহ বয়োবৃদ্ধি হেতু কাৰ্য্যকরী শক্তির স্বাভাবিক হ্রাস জনিত ও ইহ পীড়া বলিয়া পরিগণিত হয় না । রোগ বা পীড়ার প্রকৃষ্ট কারণ অধিকাংশ স্থলেই সেলের বাহিরে দেখা যায়। এমিবার উল্লিখিত পীড়া ও মৃত্যু বাহিরের অবস্থার পরিবর্তন হেতুই ঘটিয়া থাকে। সকল প্রকার সজীব পদার্থের স্বাভাবিক কার্যাকরী শক্তির পরিবর্তন বাহিরের অবস্থার ব্যতিক্রমে ঘটিয়া থাকে । এই পরিবর্তনই রোগ বা পীড়া । বাহিরের অবস্থা প্রতিকুল না হইলেও পূৰ্ব্ববর্তী কোন সেল বাহিরের অবস্থার প্রতিকূলতা হেতু ভবিষ্যৎ বংশীয় সেলের আভ্যন্তরীণ রোগ পরিহার শক্তির বিপৰ্য্যয় হেতু পীড়া উৎপন্ন করিতে পারে। সেইজন্ত রোগ বা পীড়া ( ১ ) কৌলিক ও (২) প্রাপ্ত এই দুইভাগে বিভক্ত হইয়াছে। উল্লিখিত পীড়া ও মৃত্যু কেবল যে এক সেল জীবাণু বা উদ্ভিজ্জাণুতে দেখা যায় এমন নহে। মনুষ্যশরীর বহু সেলযুক্ত । শ্রম বিভাগ হেতু এই সমস্ত সেল বিবিধ যন্ত্রে বিবিধ কাৰ্য্যকরী শক্তি সম্পন্ন। একটী যন্ত্রের সেল বিবিধ প্রকারের হইলেও সমগ্র সেল সমূহের অবস্থা এক সেল প্রাণীর অবস্থা হইতে কিছুতেই সম্পূর্ণ বিভিন্ন নহে। প্রাণীর ও যাবতীয় যন্ত্রের জীবনীশক্তি সেল সমূহের রোগ, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। ミ>(r শক্তির উপর নির্ভর করে । একটী সেলের পীড়া যেমন প্রতিকুল কার্ব্যকরী শক্তির উপর নির্ভর করে, সেইরূপ সমগ্র মনুষের পীড়া বহু সেল সমষ্টির প্রতিকুল কাৰ্য্যকরী শক্তির উভর নির্ভর করে । এইরূপে বিষয়টা জটিল হইয় পড়ে, সেলগুলির সংখ্যা বৃদ্ধির সহিত কাৰ্য্যকরী শক্তির বিভাগ জন্য ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রের উদ্ভাবন হওয়ায় স্থানীয় রোগোৎপত্তি সম্ভবপর হইয়া উঠে । কোন পীড়াতেই শরীরের প্রত্যেক সেলের কার্য্যকরী শক্তির হ্রাস বা নাশ হয় না । সকল রোগের একটা না একট উৎপত্তি স্থান আছে । সমগ্ৰ জীবের ত পীড়া হয় না, কতকগুলি সেল সমষ্টি পীড়াক্রান্ত হওয়ায় স্থানীয় বা যান্ত্রীয় রোগের উৎপত্তি হয় । কোন সেল সমষ্টির রোগাক্রান্ত হওয়া দুইটী বিষয়ের উপর নির্ভর করে—( ১ম ) বাহিরের অবস্থার প্রতিকূলতা ও (২য় ) আক্রান্ত টিমুর রোগ পরিহার করিবার আভ্যন্তরীণ ক্ষমতা । মানবদেহের সেল সমূহ বহুবিধ বলিয়া রোগ প্রতীকারের ক্ষমতাও নানা প্রকারের দেখা যায় ! কোন অtঘাত সমভাবে সমস্ত সেলগুলিকে আহত করে না । কোন আঘাত যন্ত্র বিশেষের কোন ক্ষতি না করিলেও অপর যন্ত্রের সমূহ অনিষ্ট করিতে সক্ষম । কোন টিসু এক আঘাতে অবসন্ন হইলেও আবার সেই আঘাতেই অপর কোন টিমু উত্তেজিত হইতে পারে । সেল সমষ্টির আভ্যন্তরীণ রোগ প্রতীকারের শক্তির উপর এই বিভিন্নতার কারণ নির্ভর করে । এই নিমিত্ত কোন টিল্প বা যন্ত্র বিশেষের অপর টিস্থ বা বাপেক্ষ