পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՏԵ ভিষকৃ-দপণ । [ గ్రా, సిరిన বিভিন্ন দৃষ্ট হয়, তখন উহাকে আজন্ম বিকৃতগঠন কহে। এই গঠনবিপর্যায় জরায়ু মধ্যস্থ ভ্রণের বিকার জনিত ও সমগ্র ভ্রণ বা ইহার কোন অংশ আক্রান্ত হইতে পারে । ভ্রণ শরীরে কোন কোন যন্ত্রেরও এই প্রকার পরিবর্তন দৃষ্ট হয় । এই অবস্থা ভবিষ্যতের প্রাপ্ত অভাব, বিকলাঙ্গ, বিবুদ্ধি বা গঠনবিপৰ্য্যয় হষ্টতে পৃথক। মাতৃ শরীর হইতে বিচুত হইবীর পর এই শেষের অবস্থাগুলি দেখা যায় । রোগ হইলে জীবের স্বাভাবিক ক্রিয়াসমূহ অস্বাভাবিক ভাবে সম্পন্ন হয়, সুতরাং আকৃতির বিপর্য্যয় সম্ভবপর হইয়া উঠে । এপথিলিয়া চক্ষু প্রভৃতিতে দেখা গিয়াছে যে পীড়ার সহিত আকৃতিগত বিভিন্নত অনিবাৰ্য্য। শবব্যবচ্ছেদে অণুবীক্ষণ দ্বারা পরীক্ষা ও জীবিত অবস্থায় পীড়া উৎপাদন রূপ পরীক্ষা দ্বারা আকৃতিগত পরিবর্তন বিশিষ্টভাবে প্রমাণ হইয়াছে । এই সকল কারণে স্বাভাবিক অবস্থা হইতে আকৃতিগত ৰিভিন্নতা সমস্ত রোগের মূল বলিয়াই বোধ इब्र । ७ई छछहे शूर्ति बन श्ब्रांप्छ ८ग, মন্থয্যের পীড়া কোন বিশেষ সেল সমষ্টির স্থানীয় বিকার মাত্র, সেই জন্ত “পীড়িত অবস্থার শারীর স্থান” বিদ্যার মুখ্য উদ্দেশ্য নানাবিধ পীড়ায় টিসুর আকৃতিগত বৈলক্ষণ্য সবিশেষে ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করা । পূৰ্ব্বে লক্ষণানুসারে রোগ বিভাগ করা হইত, রোগের' নামেই অনেকগুলি লক্ষণ বুঝা যাইত। অধুনা আকৃতিগত বিভিন্নত মুসারে রোগের বিভাগ করা হুইয়া থাকে । নানা রোগের এইরূপে আকৃতিগত বৈলক্ষণে ৰিভাগ হওয়ার, ৰিবিধ প্রকারের লক্ষণ ও পীড়ার গতি দ্বারা বহু প্রকারের রোগের বিভিন্নতা স্থিরীকৃত হইয়াছে । উপরে যাহা লিখিত হইল তাহা হইতে রোগের লক্ষণ বা গতি যে একেবারে রোগের বিভাগে প্রযুজ্য নহে ও আকৃতিগত বৈলক্ষণ্য ব্যতীত রোগ বিভাগ হয় না এমন নহে। কোন যন্ত্রের বা টিসুর কার্য্যকরী শক্তির বৈলক্ষণ্য যে কোন আকৃতিগত প্রভেদের নিমিত্ত তাহ সকল সময়ে ঠিক করা যায় না । এপিলেপ্সি { মৃগী ) বা ডায়েবিটিস (বহুমূত্র ) হইলে যে কোন যন্ত্রের আকৃতিগত পরিবর্তন হইয়াছে তাহা আমরা বলিতে পারি না, কিন্তু কতকগুলি লক্ষণ আমরা বেশ মনে করিতে পারি। তাই বলিয়াই যে, এই পীড়াগুলি কোন সেল সমষ্টির স্থানীয় বিকার, হেতু উৎপন্ন হয় নাই এমন বলা যায় না ; আমরা এইমাত্র বলিতে পারি, যে যন্ত্র বা টিসুর সেল সমষ্টির বিকার হেতু এই পীড়াগুলি জন্মায়, তাহা আমরা অদ্যাপি ঠিক করিতে পারি নাই । দুইটী কারণের উপর ইহা নির্ভর করে, প্রথমতঃ আকৃতিগত গঠন বিপৰ্য্যয়ই নির্ণয় করিতে হইলে, যে উপায় অবলম্বন করা বিধেয় উহ! এত কঠিন যে, অতি অল্প স্থলেই আমাদের চেষ্টা সফল হয়, ও দ্বিতীয়তঃ যে টিস্থ পরিবর্তনের জন্ত পীড়া উৎপন্ন হয়, উহা | প্রধানতঃ রাসায়নিক ক্রিয়া বিশেষে ও আকৃতি গত বৈলক্ষণ্যে এত স্বল্প যে অণুবীক্ষণ সাহায্যেও উহা ধরা কঠিন। অধিকাংশ | স্থলেই সামান্ত পীড়া যন্ত্র বা টিম্বর কার্যকরী | শক্তির সামান্ত বিপৰ্য্যয় হেতু জম্মিয় থাকে। উহ! এত সীমান্ত ও অরক্ষণ স্থায়ী যে তদ্বারা আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটনা প্রায় অসম্ভব ।