পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (ঊনবিংশ খণ্ড).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলাই, ১৯৩৯) ভারতীয় ভিষক মহামণ্ডলী। S8ማል কাল পাথরের রোয়ার্ক ५ष९ সিড়িতে বাধান, । মধ্যে মধ্যে এক একটী কাল পাথরের মন্দির ; ভিতরে শিব, বাহিরে কাল পাথরের ষাড় । সুম্প্রক্তি একটা নুতন মন্দির গঠিত হইয়াছে, নদী গোদাবরী দেবীর শ্বেত প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটা মূৰ্ত্তা তথায় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ; ভিতরটা এক প্রকার সুসজ্জিত, বাটটার বিশেষ কোন স্থপতির সৌন্দৰ্য্য নাই ; জাশ্চর্য – একেবারে নদীর গর্ভ হইতে বাটটি উঠিয়াছে। যখন বর্ষার জলে নদীপুর্ণ হয় তখন চৌবাচ্ছ, মন্দির আদি সব ডুবিয়া যায় ? একটী চৌবাচ্ছার নাম রামকুণ্ড, তার একধারে একটী অল্প গভীর কুয়া কাটা আছে; নাশদেশ হইতে, শুনিলাম পুণ্যলোকে গমনের আশায় লোকের অস্থি অনিয়া এই কুণ্ডে ফেলা হয় এবং ফেলিলেই তখনই সব গলিয়া যায় ; কথাটা বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু প্রথাটা সত্য। অনেক অনুসন্ধান করিয়া ডাঃ কিষণ বেকার কুণ্ডের স্থান নির্দেশ করিলেন ; আমরা কাহাকেও অস্থি নিক্ষেপ করিতে দেখি নাই। নদীর দুইপাড় দুই তালগাছ প্রায় উঁচা হইবে, পাথর দিয়া বাধান ; সিড়ি দিয়া উপরে উঠতে হয়, গাড়ি করিয়া ভাল নামা যায়। আমরা গাড়ী করিয়া নামিয়াছিলাম। দুইধারে দ্বিতল তৃ তল পাকা বাড়ী ; সব বাড়ী গুলি প্রায় গায় গায় লাগা ; বিশেষ কোন কারুকার্য্য ও সৌন্দর্য্য নাই । সিড়ি ভাঙ্গিয়া এক পাড়ের উপর বাড়ীতে এক রোগী দেখিলাম । সৰ্ব্বত্র সকল সময় ডাক্তারের অাদর আছে । কতগুলি বাড়ী যাত্রীদিগের থাকিৰার জন্ত ; এখন শিবরাত্রীর সময় তিন চার হাজার লোকের সমাগম হইয়াছে, নদীর গর্তে মেলা বসিয়াছে। আঙ্গুর ছয় জানায় শের, বড় একটা পেঁপে চার আনা, পাকা পচা বিলাতী কুল, ছোট ছোট পেয়ারা, আলু, তেঁতুল, অতি ময়ল আকের গুড় ইত্যাদি ইত্যাদি শাক শবজী, ফল । আঙ্গুর দেখিয়া জাবার লোভ হইল, কিন্তু এখন লোভ সম্বরণ করিয়া রহিলাম ; আঙ্গুর বাগানে গিয়া আঙ্গুর লইব এই আশায়। বড় বড় দোঁকানে ঘট, বাটা গেলাস বিক্রয় হইতেছে। ১৯• আনা দিয়া একটা গঙ্গা যমুনা ঘটি কিনিলাম ; পিতলের উপর তামারঞ্জিত ; এই সব ঘটতে তীর্থ যাত্রীরা গোদাবরীর পবিত্র জল ; . বাস্তবিক কিন্তু ময়লা ও ঘোলা জল যাত্রীরা । লইয়া যায় । আমার ইচ্ছা হইল গোদারীর জল একটু লইয়া যাই । কিন্তু ঘট থাকিলেও । তাহা ঘটিল না। একটা দোকানে দেখিলাম নাসিকের নানা রমণীয় দৃষ্ঠের আতপ চিত্র বিক্রয় হইতেছে। তপোবনের ও পঞ্চবটীর একখানি চিত্র কিনিলাম ; তপোবনের চিত্র খানি অতি মনোহর ; ঘন গুণমল লতাপাতার কুঞ্জবন ; সীতা ভিতর হইতে দেখিতেছেন ; ৷ নিকটে সুবর্ণ মৃগ চরিতেছে ; লক্ষ্মণ কাছে দাড়াইয়া আছেন ; রাম ধনুৰ্ব্বান হস্তে মৃথ লক্ষ্য করিয়া ধীরে ধীরে চুপে চুপে যুগের অনুসরণ করিতেছেন ; বনের ভিতর দিয়া - পৰ্ব্বত ভেদ করিয়া হীন তেজ স্রোতস্বিনী । মৃদু মন্দ চলিতেছে, মধ্যে মধ্যে পদ্মফুল । ফুটিয়া রহিয়াছে ; এই রমণীয় ছায়াচিত্র দেখিয়া ইহার মূল বাস্তব প্রাকৃতিক দৃশুটীকে আমাকে দেখিতে হইবে । এই বিংশতী শকাব্দীতে এ ছায়া কেমনে উঠিল। এক